মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে একগুচ্ছ নতুন ফিচার আসছে। এসব ফিচার ব্যবহারে এই অ্যাপটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে কী কী ফিচার আসতে চলেছে।
একটি নতুন প্রিভেসি ফিচার নিয়ে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর ফলে পাসকি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিজেদের চ্যাট ব্যাকআপ এনক্রিপ্ট করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
পাসকি কী?
পাসকি হল ডিজিটাল পরিচয়পত্র। যা ট্র্যাডিশনাল পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথবা ফেসিয়াল রেকগনিশনের মতো বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার ব্যবহার করবে। এই ফিচারটি অ্যানড্রয়েড ভার্সন ২.১৪.১৮.১৩-এর জন্য সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বিটাতে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বিটা হাইলাইটসে এই নতুন পাসিকি এনক্রিপশন ফিচারটি প্রথম লক্ষ্য করেছে ওয়াবেটা ইনফো। মূলত ইউজার ডেটা সিকিউরিটি শক্তিশালী করার জন্য এমনিতেই কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আর এই নয়া ফিচার তারই অংশ। বর্তমানে ব্যাকআপের জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ।
বিজ্ঞাপন
ফলে একটি কাস্টম পাসওয়ার্ড অথবা ৬৪ ডিজিট এনক্রিপশন কি-এর মাধ্যমে ইউজারদের ব্যাকআপ ডেটা সুরক্ষিত থাকে। যদিও এই পদ্ধতিগুলো উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে, এটি ব্যবহারকারীদেরকে জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখতে বা দীর্ঘ এনক্রিপশন কীগুলো পরিচালনা করতে নির্দেশ দেয়। যা ব্যবহারকারীদের পক্ষে পরিচালনা করা কষ্টকর এবং তাদের নিজস্ব ডেটা লক আউট হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়।
আরও পড়ুন: এই কাজটি না করলে অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার দামি ফোন
তবে এই নতুন পাসকি ফিচারের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে সরল করে দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে তারা নিজেদের ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস স্ক্যান অথবা স্ক্রিন লকের মতো বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ফোন আনলক করার জন্য ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক মেথড ব্যবহার করেই এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ অ্যাক্সেস অথবা রেস্টোর করা যাবে। ফলে পাসওয়ার্ড আর এনক্রিপশন কি আর মনে রাখতে হবে না। আপাতত এটা বিটা-তে মিলছে।
নতুন এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছতে এখনও বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। আর একবার এসে গেলে তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপের জন্য নিরাপত্তার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে। এখানেই শেষ নয়, আরও একটি প্রিভেসি ফিচার নিয়ে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে একাধিক ডিভাইসে নিজেদের কন্ট্যাক্টস কীভাবে সিঙ্ক্রোনাইজ করা যাবে, তা পরিচালনা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
এজেড