জনবহুল স্থানে ফোন কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করার কারণে সাইবার হানার ঝুঁকি তৈরি হয়। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, বিভিন্ন ফিশিং স্কিম এবং প্রতারণামূলক সাইটের সাহায্য নিয়ে হ্যাকাররা গ্রাহকদের ফোনকে নিশানা করে থাকে।
আরও পড়ুন: ফোনের স্পিকারে কম সাউন্ড পাচ্ছেন, এই ভুলটি করছেন না তো?
বিজ্ঞাপন
গ্রাহকরা যে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন, সেগুলোকেই মূলত নিশানা করেন সাইবার অপরাধীরা। ফলে নিজের ডিভাইসকে রক্ষা করার জন্য পাবলিক ওয়াইফাই না ব্যবহার করাই ভালো। নিজের ডিভাইস সুরক্ষিত এবং ডেটা নিরাপত্তার জন্য নিম্নোক্ত এই উপায়গুলো অবলম্বন করা উচিত।
স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে কী কী করণীয়?
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার নয়
বিজ্ঞাপন
কাফে এবং বিমানবন্দরের মতো জায়গায় পাবলিক নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেই সাইবার হানা হতে পারে। তার পরিবর্তে বরং নিরাপদ ও পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য ভিপিএন প্রয়োগের কথাও ভাবা যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা
ছুটি কাটানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সময় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এনেবল করতে হবে। এটা অতিরিক্ত ভেরিফিকেশন ধাপ যোগ করে। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও ফোনে আসবে।
সফটওয়্যার আপডেটেড রাখা
নিজের ডিভাইসের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করতে হবে। যা অ্যাপসগুলোকে যেকোনও সমস্যার হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে। অটোমেটিক আপডেট এনেবল করতে হবে। চুরি অথবা ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষার জন্য হামেশাই ডেটা ব্যাকআপ রাখতে হবে।
ওভারহিটিং এড়িয়ে চলা
সরাসরি সূর্যের আলো আসছে, এমন জায়গায় ফোন রাখা উচিত নয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ফোনের ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই সম্ভব হলে ঠান্ডা ও ছায়া পড়ে, এমন জায়গায় ফোন রাখতে হবে।
ফিশিং থেকে সতর্ক থাকা
সন্দেহজনক ই-মেল, টেক্সট অথবা লিংক দেখলে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে সেগুলোর থেকে সাবধান হতে হবে, যেগুলো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আসার ভান করবে। এতে ক্লিক না করে এর বৈধতা যাচাই করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
এজেড