স্মার্টফোন চার্জ দিতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। অনেকটাই সময় লাগে ফোন চার্জ হতে। বিশেষ করে আইফোনের শক্তিশালী ব্যাটারি চার্জ হতে অনেক সময় নেন। এই পরিস্থিতিতে কী করলে ফোন দ্রুত চার্জ উঠবে? অনেকেই এই প্রশ্ন করেন। আসলে চার্জ ওঠার নিজস্ব গতি রয়েছে। সেটাকে কী আদৌ বাড়ানো যায়? হ্যা, যায়। ৬ রকম ভাবে ফোনে দ্রুত চার্জ দেওয়া যায়।
তবে কী করার উচিত নয়, সেটা সবার আগে জানতে হবে। টেক বিশেষজ্ঞরা ল্যাপটপ বা পিসি থেকে চার্জ দিতে বারণ করেন। অনেকেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করতে করতে আইফোনে চার্জ দেন।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু জেনে রাখা ভালো, ল্যাপটপের চার্জিং ক্ষমতা অ্যাডাপ্টর এবং ওয়্যারলেস চার্জারের তুলনায় অনেক কম। ল্যাপটপে ইউএসবি এ পোর্ট থাকুক বা ইউএসবি সি পোর্ট, ওয়াল চার্জারের সঙ্গে এর কোনও তুলনাই হয় না।

ফোনের জন্য সঠিক চার্জার ব্যবহার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আইফোনের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ইউএসবি সি কেবলসহ ২০ ওয়াটের পাওয়ার অ্যাডাপ্টরের মাধ্যমে আইফোন ১৫-এ সবচেয়ে দ্রুত চার্জ করা যায়। আইফোন ৮ বা তার পরের মডেলের আইফোনে ফাস্ট চার্জারের মাধ্যমে মাত্র আধ ঘণ্টায় ৫০ শতাংশ চার্জ দেওয়া যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যাবে।
এমনকি ১০ মিনিটের জন্যও ফোনকে ফাস্ট চার্জে রাখা হয়, তাহলে ব্যাটারির আয়ুও বাড়ে। দ্রুত চার্জ করতে চাইলে এটাই সবচেয়ে ভাল বিকল্প। অ্যাপল এখন আর নতুন আইফোনের সঙ্গে পাওয়ার অ্যাডাপ্টর দেয় না।
বিজ্ঞাপন

তবে ২০ ওয়াটের অ্যাডাপ্টর অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে কেনা যায়। আইফন ইউজাররা ফাস্ট চার্জিং পাওয়ার ব্রিকস দিয়েও আইফোন চার্জ করতে পারেন। তবে আইফোন ১২ বা তার পরের মডেলগুলোতে দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য ২০ ওয়াটের অ্যাডাপ্টর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ফোনে এই ৩ সেটিংস বদলালে ফোন চুরি ঠেকানো যাবে
ওয়্যারলেস চার্জিং: ম্যাগসেফ চার্জার এবং অ্যাপলের ২০ ওয়াট ওয়াট পাওয়ার অ্যাডাপ্টারের মাধ্যমে আইফোন দ্রুত চার্জ করা যায়। অ্যাপল আইফোন ১২ বা তার পরবর্তী মডেলের ইউজাররা ১৫ ওয়াট পর্যন্ত ফার্স্ট ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে পারেন।
এর মানে যদি পুরো চার্জ শেষ হয়েও যায় তাহলেও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ পেতে পারেন ইউজাররা। পাশাপাশি এয়ারপ্লেন মোডে রাখলেও দ্রুত চার্জ ওঠে। এই সময় ওয়াইফাই বা নেট বন্ধ রাখতে হবে।
এজেড

