ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের কয়েক শ কোটি মানুষ এই অ্যাপে নিত্যদিন ভরসা রাখেন। এই মাধ্যমটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর চ্যাট ও কল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। হোয়াটসঅ্যাপ নিজেই দাবি করছে তাইলে তারাও গ্রাহকের মেসেজ পড়তে পারেন না।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে এত নিরাপত্তার পরেও কি হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করা যাবে? হ্যা, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হতে পারে। হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায়ে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করতে পারে। এই পদ্ধতিগুলোকে সরাসরি হ্যাকিং বলা যাবে না। কিন্তু হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের ধোঁকা দিয়ে অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে সফল হয়।
বিজ্ঞাপন

যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপের বার্তাগুলো ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, যে কেউ অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করছে আপনার পুরনো কথোপকথন পড়তে পারবে না। এছাড়াও মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র টেক্সটের উত্তর দিয়ে আপনাকে সহজে হ্যাক করা যাবে না।
তবে, আপনি যত বেশি হ্যাকারদের সঙ্গে জড়িত থাকবেন। আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হ্যাকাররা আপনাকে কোনো না কোনোভাবে প্রতারণা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চায় আপনি যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করুন, যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম ট্রিকস: ছোট বার্তা লিখলেই সম্পূর্ণ বাক্য টাইপ হবে
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অনেকেই বেশি ফিচার্স পাওয়ার আশায় গোলাপি রঙের হোয়াটসঅ্যাপ লোগো অ্যাপটি ডাউনলোড করে থাকেন, যার ফলে তারা খুব সহজেই প্রতারিত হন হ্যাকারদের দ্বারা। অ্যানড্রয়েড মোবাইলে গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপলে অ্যাপ স্টোর ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয়।
হোয়াটসঅ্যাপ যেভাবে হ্যাক করা হয়
১. প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে যাচাইকরণ কোড নেওয়া।
২. স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা।
৩. একটি লিঙ্কের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার পাঠানো।
৪. আপনার ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ক্লোন করে।

হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে যেসব লক্ষণে বুঝবেন
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পাবে-
১. আপনি এমন বার্তা দেখতে পারেন যা আপনি পাঠাননি।
২. প্রোফাইল ফটো বা নাম পরিবর্তন হতে পারে।
৩. বিভিন্ন ডিভাইস থেকে লগইন হতে দেখা যাবে।
৪. অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসা যাওয়া দেখা যেতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়
আপনার হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা যেভাবে উন্নত করবেন-
১. আপনার রেজিস্ট্রেশন কোড বা ভেরিফিকেশন পিন কখনই অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
২. টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখুন এবং একটি ই-মেইল ঠিকানাও প্রদান করুন। আপনি পিন ভুলে গেলে এটি পুনরুদ্ধারের জন্য উপযোগী হবে।
৩. আপনার ফোনে একটি ভয়েসমেইল পাসওয়ার্ড সেট করুন।
এজেড

