বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

ইন্টারনেট ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

ইন্টারনেট ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি

ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার উল্লেখ করে ইন্টারনেট ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি সংলগ্ন হোটেল রয়েল-ইন এর দ্বিতীয় তলায় মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘ওটিটি/ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলে।


বিজ্ঞাপন


আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সচিব ড. বিকর্ণকুমার ঘোষ বলেন, আমরা পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি, সেই সাথে মুক্তি পেয়েছি অর্থনৈতিকভাবে। ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্লাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার। এখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সমীচীন নয়।

তিনি আরও বলেন, ওটিটিতে লাইভ টিভি বন্ধ করা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। সরকারের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এবং সকল পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, অন্যান্য দেশে আগে পলিসি তৈরি হয় তারপর গ্রাহক তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টো। এখানে গ্রাহক আগে তৈরি হয় তারপরে সমস্যা তৈরি হয়, পরবর্তীতে পলিসি তৈরি হয়। এখানে হয়তো দেশের ভিতরে পরিচালনাকারী অপারেটরদের প্ল্যাটফর্ম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে কিন্তু নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন এর মতো প্ল্যাটফর্ম কি আপনি বন্ধ করতে পারবেন? কেবল ব্যবসায়ীদের ৭০ ভাগ অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের ইন্টারনেট ব্যবসা করার আইনগত অধিকার নেই অথচ তারা করছে। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু তারা আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসার মধ্যে হস্তক্ষেপ করছে যা মোটেও কাম্য নয়।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক জনাব মো. খালিদ আবু নাসের বলেন, ২০১৯ সালে বিশ্বে ওটিটি ব্যবসা ছিল ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৭ সালে বিশ্বব্যাপী এই বাজার দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে ২০৩০ সালে নাগাদ ১ হাজার কোটি টাকার বাজার দাঁড়াবে। তাই খুব দ্রুততার সাথেই এই সেক্টরে প্রতিবন্ধকতা দূর করে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবা জরুরি। আইনবিধি ছাড়া এভাবে প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া বাজার প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ এর ২৭ ধারা পরিপন্থী।


বিজ্ঞাপন


আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে ইতোমধ্যে ৪২টি দেশে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশকে নির্মাণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে। যেখানে সরকার ঘরে ঘরে শতভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে, সে সময় তিন কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। 

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর