শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে । ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য এসব ভিডিও ডিলিট করা হয়েছে।
টিকটকের সম্প্রতি প্রকাশিত কমিউনিটি গাইডলাইন্স এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ৭৬ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক
কমিউনিটি গাইডলাইন্স এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) সময়ের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ভুল তথ্যের প্রচার রোধে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিকটকের অবস্থান প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। প্ল্যাটফর্ম ইউজারদের এবং কমিউনিটির আস্থা অর্জনে এবং তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ টিকটক। যার গুরুত্ব তুলে ধরে টিকটকের এই প্রতিবেদনটি।
কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে টিকটক ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্মটি থেকে মোট ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩টি ভিডিও সরিয়েছে। যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা সকল ভিডিওর প্রায় ১.০ শতাংশ। এর মধ্যে, ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮৪টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ১০৬টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।
কমিউনিটি গাইডলাইন রক্ষা করার পাশাপাশি, টিকটক সক্রিয়ভাবে স্প্যাম অ্যাকাউন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কনটেন্টগুলোর উপর লক্ষ্য রাখে। একইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে,বাংলাদেশে যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে তার মধ্যে ৯৫.৩ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেবল এক দিনের মধ্যেই। এই প্রান্তিকে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৯.৫ শতাংশ। এছাড়া, ১৩ বছরের কম বয়সী প্ল্যাটফর্ম ইউজার হওয়ার সন্দেহে এবং তরুণদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। বিশ্বজুড়ে এমন অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৫টি ।
প্ল্যাটফর্মের সকল ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অকৃত্রিম অভিজ্ঞতা দেয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনটি। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্ম ইউজার এবং প্রতিটি কনটেন্টের জন্য সমানভাবে এই নীতিমালা প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা এবং ন্যায়সঙ্গতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় থাকে প্ল্যাটফর্মটি।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট শনাক্ত করতে, মূল্যায়ন করতে এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যবহার করা হয় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও টিকটকের কর্মীদের। প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো কনটেন্ট আর অ্যাকাউন্টগুলোর পরিমাণ এবং আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় টিকটকের প্রান্তিক কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টটি থেকে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় এটি জানতে পারবেন।
এজেড