আর মাত্র ১০ বছর, তারপর আর আর্কটিকে আর বরফ দেখা যাবে না। আর্কটিক হল একটি মহাসাগর। এটিকে উত্তর মহাসাগরও বলা হয়। এর অবস্থান পৃথিবীর একদম উত্তর প্রান্তে। আর অবস্থানের জন্য এটি সুমেরু সাগর নামেও পরিচিতি। ইংরেজিতে এর নাম আর্কটিক ওশেন। এক দশকের মধ্যে আর্কটিক মহাসাগর বরফশূন্য হয়ে মহাবিপদের আভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা গেছে। আর সেই তথ্য ঘুম কাড়ছে আবহাওয়াবিদ ও বিজ্ঞানীদের। এমনকী এর বরফ গলে গেলে সারা বিশ্বের আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর প্রভাব ফেলবে।
বিজ্ঞাপন
আর এই সব কিছুই গবেষণার পরে দেখা গিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারে পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, চরম গরমেও আর্কটিকে তুষার দেখা যায়। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে। শীতেও থাকবে না কোনও বরফ।

বিজ্ঞানীদের কী দাবি?
গবেষণার ফলাফল সামনে আসার পরে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, দশ বছরে বরফ গলে যাবে তা নিশ্চিত। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি, সেপ্টেম্বর মাসে আর্কটিক সাগরে বরফ দেখা যাবে না। তবে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পারলেই যে এই পরিস্থিতি তৈরি হবে না, তা কিন্তু একেবারেই নয়। তবে বরফ গলে গেলে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে আর্কটিকের প্রাণীদের ওপর। সীল এবং মেরু ভালুকের মতো প্রাণীরা আর টিকে থাকতে পারবে না। ফলে পৃথিবীতে ভয়ানক এক অবস্থা দেখা দেবে। আর সেই দিন বেশি দূরে নেই।
বিজ্ঞাপন
এজেড

