মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য এয়ার ফিল্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আকারে ছোট হলেও এর কার্যক্ষমতা অনেক। একটি বাইকের ইঞ্জিন চালু থাকার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জ্বালানি। এই জ্বালানি দহনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেনের। যা এয়ার ফিল্টারের মাধ্যমে বাতাস থেকে সংগ্রহ করে।
শুধু মোটরসাইকেলই নয়, যেকোনো কম্বাশন ইঞ্জিনের দহনের জন্য চেম্বার জ্বালানি এবং অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। বাতাসে অক্সিজেন থাকলেও সঙ্গে থাকে প্রচুর ধুলা-বালি। এই ধুলাবালি ছাকনির কাজটি করে এয়ার ফিল্টার।
বিজ্ঞাপন
এয়ার ফিল্টারের কাজ প্রকৃতি থেকে বিশুদ্ধ বাতাস সংগ্রহ করে ইঞ্জিনের কম্পাশন চেম্বারে প্রবেশ করানো।

এয়ার ফিল্টার অনেকটা জালের মত। দূষিত বাতাস এর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করার সময় এতে সকল ধুলাবালি ও ময়লা আটকে যায়। আর তা জমতে জমতে এয়ার ফিল্টারের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। ফলে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে এটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ঠিক সময়ে পরিবর্তন না করলে তা ইঞ্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়।
এয়ার ফিল্টার কতবার পরিষ্কার করা উচিত
বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেল ঠিক রাখতে ঘন ঘন এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার চলার পর পরিষ্কার করা উচিত। কিছুদিন পরিষ্কার করার পর এটি যখন আর পরিষ্কার করার সুযোগ থাকবে না তখন পরিবর্তন করে নতুন একটা লাগাতে হবে।

এয়ার ফিল্টার কতদিন পর পরিবর্তন করা উচিত?
অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের মতে ৩০০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার বাইক চালানোর পর নতুন এয়ার ফিল্টার লাগানো উচিত।
কত কিলোমিটার চালানো পর পরিষ্কার করবেন তা নির্ভর করবে বাইক চালানোর পরিবেশের উপর। তবে ৫০০ থেকে ৮০০ কিলোমিটার পর করাই ভালো। এভাবে একটি এয়ার ফিল্টার দিয়ে ৫০০০ কিলোমিটার বা তার বেশি চালানো যায়।
এয়ার ফিল্টার ছাড়া বাইক চালানো যাবে না। এটি না থাকলে ইঞ্জিন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কারণ, বাতাসের সঙ্গে ময়লা ধূলিকণা প্রবেশ করে। ফলে এয়ার ফুয়েল মিশ্রণ সঠিক ভাবে হয় না। এছাড়া ধুলাবালি বার্ন হয়ে ইঞ্জিনে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে। ফলে ইঞ্জিনের শব্দ বেড়ে যাবে।
এজেড

