কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে নির্গত আলো চোখের ক্ষতি করে। তাই অনেকেই কম্পিউটার ব্যবহারের সময় ব্লু লাইট গ্লাস পরেন। তাতে নাকি চোখকে বাঁচানো যাবে বলে তাদের বিশ্বাস। তবে সত্যিই কি এই চশমার কোনও গুরুত্ব রয়েছে? নাকি তা ব্যবহার করলে চোখের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বাড়ে?
ভাবনাতেই গলত রয়েছে
বিজ্ঞাপন
কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিন থেকে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসে নীল আলো। আর এই শর্ট ওয়েভ লাইট অত্যধিক পরিমাণে অক্ষিগোলকে প্রবেশ করলে যে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে বারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন পানিতে পড়লে প্রথমেই যে কাজটি করবেন
তবে জানলে অবাক হবেন, এই নীল আলো আমাদের কিছু উপকারও করে। যেমন ধরুন, আমাদের সার্কাডিয়ান রিদম বা ঘুমের সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে এই আলো। তাই আমরা সকালবেলা ঘুমিয়ে পড়ি না। এমনকি এই আলো আমাদের অ্যালার্টনেসও বাড়ায়। তাই এই আলো নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যথার কারণ নেই বললেই চলে।
বিজ্ঞাপন

ব্লু রে গ্লাস কি আদৌ কার্যকরী?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অবথ্যালমোলজি ১২০ জন মানুষের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালায়। এক্ষেত্রে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের দুইটি দলে ভাগ করে, একদলকে ব্লু রে গ্লাস এবং অপরদলকে সাধারণ চশমা পরিয়ে ২ ঘণ্টা কম্পিউটারে কাজ করতে বলা হয়। তারপর তাদের সকলের চক্ষু পরীক্ষা করে দেখা যায় যে দুই দলের চোখের স্বাস্থ্যের হাল প্রায় একই। তাই ব্লু রে গ্লাস পরলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এই তত্ত্বের কিন্তু কোনও যুক্তি নেই।
ক্ষতি নেই
গবেষণায় এই বিষয়টা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে ব্লু রে চশমা খুব একটা কার্যকরী নয়। তবে কেউ চাইলে এই ধরনের চশমা ব্যবহার করতেই পারেন। তাতে ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে না বললেই চলে। তবে ব্লু রে চশমা ব্যবহার করার পরিবর্তে ইউভি ব্লকিং চশমা ব্যবহার করা অনেক বেশি কার্যকরী। তাতেই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারবেন। এমনকি একাধিক গুরুতর রোগের ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে।
এজেড

