ফোনে ভয়েস ক্লোন করে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নকল করা হচ্ছে আওয়াজ। পরিচিতদের চেনা গলায় তাল মিলিয়ে ফোন করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিচ্ছেন বহু মানুষ। এই নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও কীভাবে ভুয়া কল শনাক্ত করবেন তা জানেন না অনেকেই। এআই ভয়েস ক্লোনিং ধরার ৪টি সংকেত জানুন এই প্রতিবেদনে।
এআই ভয়েস ক্লোনিং প্রতারণা কী?
বিজ্ঞাপন
প্রিয়জনদের গলার আওয়াজ নকল করে ফোন আসতে পারে আপনার কাছেও। বুঝে ওঠার আগেই ফাঁদে পড়ে যাবেন। তাই আগে ভাগে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। বর্তমানে সর্বত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে চর্চা। ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির অপব্যবহারও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: পাসওয়ার্ড মনে রাখার উপায়
বহু ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিং নিখুঁত হলেও তা ধরার উপায় রয়েছে। মূলত, টার্গেট ব্যবহারকারীর প্রিয়জনদের গলায় এই প্রতারণা করা হয়। কল, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে আসে রিকোয়েস্ট। এমন বার্তা পেলে সেগুলো রিপ্লাই দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জেনে নিন ৪টি সংকেত।
বিজ্ঞাপন
অপ্রত্যাশিত কল
পরিচিতদের গলা নকল করলেও সাধারণত ঠিক কখন প্রিয়জন বা বন্ধুরা ফোন করে তা জানতে পারে না প্রতারকরা। তাই আপনি যদি আত্মীয় বা কোনও বন্ধুদের থেকে অপ্রত্যাশিত কল পান তাহলে সাবধান থাকতে হবে। ভুল সময়ে ঘন ঘন ফোন এলেই সজাগ হন। কল রিসিভ করা তো দূর, সেই নম্বর ভুয়ো হলে দ্রুত ব্লক করে সেটি রিপোর্ট করে দিন।

জরুরি অনুরোধ
দয়া করে টাকা পাঠাবেন, ইমার্জেন্সি, খুব দরকার - এই ধরনের শব্দ শুনতে পেলে সাবধান। ইমার্জেন্সির নাম করে আপনার উপর চাপ বাড়াতে পারে প্রতারকরা। দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিচয় যাচাই না করা পর্যন্ত কোনও লেনদেন করা উচিত নয়।
গলা হুবহু এক হলেও বলার ধরন আলাদা
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির আওয়াজ চুরি করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, সেই ব্যক্তির বলার ধরন জানতে পারে না। এই আওয়াজে রোবোটিক সাউন্ড পেতে পারেন, ভুল উচ্চারণ এবং বলার ধরণ আলাদা লাগতে পারে। এমন কিছু হলেই বুঝবেন আপনি বাস্তবে কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না। প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও দ্রুত সতর্ক হতে হবে।
টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতানো এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার সুযোগে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এই পরিস্থিতিতে কখনই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, মোবাইল ব্যাংকিং পিন, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। বৈধ সংস্থা বা নিকট আত্মীয় কখনই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম নম্বর এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পিন চাইবে না। সেই নম্বর অবিলম্বে রিপোর্ট করুন এবং ব্লক করে দিন।
এজেড

