পৃথিবীর শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। সার্চ ইঞ্জিনের দুনিয়ায় যাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। ই-মেইলের দুনিয়াও তাদের রাজত্ব। ড্রাইভ-ক্লাউড স্টোরেজ মতো অনেক পরিষেবাতেই রয়েছে দাপট। এমনটি স্মার্টফোনও বিক্রি করে ক্যালিফোর্নিয়া মেনলো পার্কের এই প্রতিষ্ঠান।
এই গুগলই সাম্প্রতিককালে এমন বেশ কিছু পরিষেবা শুরু করেছিল যা যাত্রা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
শুরু হয়েছিল গুলল ওয়েভের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গুগল ডকসের মতোই রিয়েল-টাইমে নথি সংগ্রহ করতে পারতেন। নানাবিধ কমেন্টও করা যেত। অন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য়ও দেখা যেত। এই পরিষেবাটিও যাত্রা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে।

এরপর তালিকায় রয়েছে গুগল বাজ। এটি আদসে একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। ২০১০ সালে গুগলের জিমেইল পরিষেবায় এটি যোগ করা হয়েছিল। এটি ব্যবহারকারীদের তাদের পরিচিতিদের সঙ্গে নানা আপডেটস, ফটো, ভিডিও এবং অন্যান্য সামগ্রী শেয়ার করতে দিত।
বাজারে এসেছিল গুগল নেক্সাস। নেক্সাস ওয়ান স্মার্টফোন চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। গুগল নেক্সাস ৭ ট্যাবলেট, নেক্সাস ১৯ ট্যাবলেট এবং নেক্সাস প্লেয়ার স্ট্রিমিং মিডিয়া প্লেয়ার সহ বেশ কয়েকটি অন্যান্য নেক্সাস ডিভাইসও আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু সময় যত এগিয়ে ততই কমেছে নেক্সাসের জনপ্রিয়তা। হালে আর বিশেষ পানি পায়নি। ২০১৬ সাল থেকে আর দেখা যায়নি এই সিরিজের কোনও ডিভাইস।
বিজ্ঞাপন

যাত্রা শুরুর পর ভালো সাড়া পেয়েছিল গুগল প্লাস। কিন্তু, অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রয়িতা হারায়। ২০১৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। বাজারে ছিল গুগল হ্যাঙ্গআউটসও। ডেস্কটপ এবং মোবাইল, দুই ডিভাইসেই করা যেত ব্যবহার।
মেসেজ থেকে ভিডিও কলিং, সবই হত। অফিস-আদালতগুলোও এই অ্য়াপের জনপ্রিয়তাও ছিল বেশ। কিন্তু, পথা চলা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে এই পরিষেবাও।
মুখ থুবড়ে পড়েছে গুগল প্লে মিউজিকও। গানের দুনিয়া একাধিপত্য দখলে ঝাঁপিয়ে ছিল গুগলও। এখানে অনলাইন, অফলাইনে দেদার শোনা যেত গান। বানানো যেত অ্যালবামও। কিন্তু, কোনোকালেই বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি এই গুগলের এই গানের অ্যাপ।
এজেড

