মহাকাশে মানুষের সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে চালু করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএস। গত ২৫ বছর ধরে এই স্টেশনটি কাজ করে যাচ্ছে। এই স্টেশনে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা এবং জাপানের অনেক নভোচারীরা থাকেন। তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে এই মহাকাশ স্টেশনের অবস্থান। তবে নাসা বলছে আইএসএস ২০৩১ সাল পর্যন্ত কাজ করবে। তারপরে স্টেশনটি তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তবে কখন কি শুধুই তা বর্জ্যে পরিণত হবে?
বিজ্ঞাপন

বর্জ্যে পরিণত হবে মহাকাশ স্টেশনটি?
এই ভাবনা আগে থেকেই ভেবে ফেলেছে নাসা। তাই সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ নাসা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নিয়ে বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে। যাতে এটিকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে বর্জ্য হিসেবে পড়ে না থাকতে হয়, তাই নিয়ে অনেক প্ল্যান শুরু করেছেন সংস্থাটি।
এমনকি এটি যখনই তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করবে, তখনই এটিকে ডি-অরবিট করার কাজ করা হবে। অর্থাৎ কক্ষপথ থেকে ফিরিয়ে আনার কাজ করা হবে। ইতিমধ্যেই নাসা ইউএস ডিঅরবিট ভেহিকেলকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
বিজ্ঞাপন

এটা কি কেবল নাসার সিদ্ধান্ত?
প্রশ্ন উঠছে, নাসা ২০৩১ সালের আগে আইএসএস বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে? তাহলে এখনই কেন এমন পদক্ষেপ? তবে কি এখনই নাসার নিম্ন কক্ষপথ থেকে মহাকাশ স্টেশনটি সরিয়ে ফেলতে চাইছে? নাসার মতে, আইএসএসকে নিরাপদে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারা কখনোই একা নিতে পারে না। কারণ এই স্টেশনটির দায়িত্বে একমাত্র তারা নেই। তাদের সঙ্গে আরও পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রয়েছে। সেই পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উপরও এই দায়িত্বভার রয়েছে। পাঁচটি সংস্থা হল আমেরিকার নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (আইএসএ), কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি এবং রাশিয়ার স্টেট স্পেস কর্পোরেশন। যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৯৮ সালে স্টেশন থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। তাই সবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এজেড

