শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দেশে ই-স্পোর্টসের প্রসার চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

DRU
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের একটি মুহূর্ত। ছবি: ঢাকা মেইল

২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। এরপরও দেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে- বাংলাদেশে আরও প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করেছেন এমএলটি ফাউন্ডেশনের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অনিকা মৃধা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘এমএলটিন ও বাংলাদেশের ই-স্পোর্টসের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এমএলটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে অনিকা মৃধা বলেন, ই-স্পোর্টস একটি ইলেকট্রনিক খেলাধুলার মাধ্যম, যেখানে অন্যান্য খেলার মতোই পেশাদার খেলোয়াড়রা ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোনো খেলা খেলে প্রতিযোগিতায় যেতে পারেন। এছাড়া এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক খেলার মধ্যে স্পোর্টসজুড়ে থাকতে পারে, যেমন ই-স্পোর্টস ট্রেনিং, প্রতিযোগিতা এবং দর্শনীয় ইভেন্ট। এটি অনলাইনে তথা কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসে ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে।

 

আরও পড়ুন

দেশে প্রথমবারের মতো নারীদের নিয়ে ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

তিনি জানান, বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫টি অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে ১৮টি দেশে ই-স্পোর্টস সরকারি মন্ত্রণালয় ও ফেডারেশনের আওতাধীন আছে।


বিজ্ঞাপন


 

অনিকা মৃধা বলেন, ২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে পরিসংখ্যান বলছে- বাংলাদেশে আরও প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

এমএলটি ফাউন্ডেশনের এই সিওও জানান, ‘গত ৪ বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বমোট ৩৮টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড-১৯ এর সময় বাংলাদেশীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। নামকরা ৪০ জন স্ট্রিমারের বার্ষিক আয় ছিল (আনুমানিক) ১২ কোটি টাকা।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি অজয় দেবনাথ, সহ-সভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আবির বিন সাকি, কোষাধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন অনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর