বর্তমানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান স্মার্টফোন। এর বিকল্প চিন্তা করা যায় না। বেশিরভাগ মানুষই এখন অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তবে এই প্রয়োজনীয় গ্যাজেটিতে যখন সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা দেয় তখন তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অ্যানড্রয়েড ফোনের ৫ টি সাধারণ সমস্যা এবং সেগুলো সমাধান করার উপায় সম্পর্কে জানুন-
বিজ্ঞাপন

অস্বাভাবিকভাবে ব্যাটারির চার্জ কমে যাওয়া
যেকোনো স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ব্যাটারি লাইফের প্রতি সবারই নজর একটু বেশি থাকে। তাই সাধারণের তুলনায় দ্রুত চার্জ শেষ হলে তা সহজেই ব্যবহারকারীর চোখে পড়ে। বেশ কিছু কারণে অ্যানড্রয়েড ফোনগুলোর ব্যাটারি চার্জ খুব দ্রুত শেষ হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নানা ধরনের অ্যাপসের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই সমস্যার সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো আপনার স্মার্ট ফোন রিবুট করা। মাঝে মাঝে সবকিছু খুব অদ্ভুতভাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সবকিছু পুনরায় চালু করতে হয়। রিবুট করলে এই সমস্যাটির দ্রুত সমাধান হয়।
এরপরের কাজটি হলো সব অ্যাপ আপডেট করা। ফোনে এমন অ্যাপ থাকতে পারে যেটি হয়তোবা ডেভেলপাররা ঠিক করে ফেলেছে কিন্তু আপনি আপডেট করেননি বলে আপনার ফোনে এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্লে স্টোরে ঢুকে প্রতিটি অ্যাপ আপ টু ডেট আছে কিনা সে ব্যাপারে ভালোভাবে খেয়াল করুন। কিছু দিন পর পর এভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। ফোন যদি অনেক দিন পুরানো হয়ে থাকে তাহলে ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত শেষ হতে থাকবে। বেশি দিন পুরানো ব্যাটারি ফোনের জন্য অসুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভব হলে নতুন একটি ব্যাটারি লাগিয়ে নেওয়া উচিত।
বিজ্ঞাপন

ওয়াইফাই ডিসকানেক্ট হয়ে যাওয়া
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় ওয়াইফাই বার বার বন্ধ হয়ে গেলে খুব বিরক্তি লাগে। এর পেছনে ৩টি কারণ থাকতে পারে। একটি হলো আপনার স্মার্টফোন, অন্যটি আপনার রাউটার এবং সবশেষে আপনার ইন্টারনেট প্রোভাইডের সমস্যার কারণেও ওয়াইফাই বার বার ডিসকানেক্ট হতে পারে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ফোন আটকে যাওয়া বা ল্যাগ করা
অনেক সময় ধরে আইফোন অথবা অ্যানড্রয়েড ব্যবহার করতে থাকলে হঠাৎ আটকে যাওয়া বা ল্যাগ করা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কারণ ছাড়াও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত রিবুটের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। তবে ফোন যদি ঠিকমতো রেসপন্স না করে তাহলে এ কাজটি করা সহজ হবে না।

প্রতিনিয়ত অ্যাপ ক্র্যাশ হওয়া
যদি কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপে সমস্যা হয় তাহলে সেটি বার বার ক্র্যাশ করতে পারে কিংবা রেসপন্স করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফোন যেমন জোর করে বন্ধ করা যায় তেমনি যেকোনো অ্যাপও জোর করে বন্ধ করা যায়। এই কাজটি করার জন্য দুটি উপায় রয়েছে।
সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আপনার সদ্য ব্যবহৃত অ্যাপসের মেনু চালু করে যেই অ্যাপটি সমস্যা সৃষ্টি করছে সেটি সোয়াইপ করে সরিয়ে ফেলা। এভাবে সমাধান না হলে সিস্টেম সেটিংস অপশনের মধ্যে গিয়ে আপনি সেই অ্যাপটি জোর পূর্বক বন্ধ করে দিতে পারেন। এসব ছোট ছোট সমস্যা জোর পূর্বক অ্যাপ বন্ধ করার মাধ্যমে বেশিরভাগ সময়ই ঠিক হয়ে যায়।

চার্জার কাজ না করা
অ্যানড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ফোনে চার্জ না হওয়া। ব্যবহারকারীরা এই সমস্যায় পড়েন। মূলত চার্জিং পোর্ট অথবা ক্যাবলের জন্য এটি হয়ে থাকে। ক্যাবলের সমস্যা কিনা এটি জানার জন্য অন্য কোনো ক্যাবল ব্যবহার করে দেখতে হবে। এরপরও কাজ না হলে চার্জিং পোর্টে কোনো ধরনের ময়লা জমে আছে কি না সে বিষয়ে দেখে নিতে হবে। কেননা চার্জিং পোর্টে ময়লা জমে যাওয়ার কারণে অনেক সময় ফোনে ঠিক মতো চার্জ নাও হতে পারে। এসব কিছু করার পরও যদি চার্জ না হয় তাহলে চার্জিং পোর্টে অন্য কোনো সমস্যা যেমন ওয়াটার ড্যামেজ কিংবা ফল্টি চার্জিং পোর্ট হতে পারে।
ফল্টি চার্জিং পোর্টের ক্ষেত্রে আপনাকে এটি পরিবর্তন করে নেওয়ার জন্য ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির কাছে যেতে হবে। সাধারণত ফোনের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা দেখে দিয়ে থাকে।
এনএম

