শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

barcode

বারকোড কী? 

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

barcode

অনলাইনে তথ্য সংগ্রহের ভিজুয়াল পদ্ধতি হলো বারকোড। যা মেশিনযোগে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এটি সাধারণত এর ধারণকারী জিনিস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে। গতানুগতিক বারকোড হল কিছু অঙ্কিত সমান্তরাল লাইন-যার প্রস্থ এবং মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গার তারতম্য ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি রৈখিক বা একমাত্রিক ব্যবস্থা। পরবর্তীতে আয়তক্ষেত্র, বিন্দু, ষড়ভুজসহ অন্যান্য জ্যামিতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বারকোড ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়।

যাকে ম্যাট্রিক্স কোড বা দ্বিমাত্রিক বারকোড বলা হয়। যদিও তাতে প্রকৃতপক্ষে বার বা সরলরেখা ব্যবহৃত হয় না। প্রাথমিকভাবে বারকোড স্ক্যানার নামে বিশেষ অপটিকাল স্ক্যানার দিয়ে বারকোড স্ক্যান করা হত। পরবর্তীতে এমন কিছু সফটওয়ার তৈরি হয়েছে যা ক্যামেরা সংবলিত স্মার্টফোনের ধারণকৃত ছবি পড়তে পারে।
bar-code


বিজ্ঞাপন


বারকোডের ব্যবহার

বারকোড হল চৌকো আকৃতির ছবি। যাতে একাধিক কালো সমান্তরাল লাইন থাকে। মাঝে বেশ কিছু সাদা ফাঁকা জায়গাও থাকে। এই বার কোড সহজেই স্ক্যানার পড়ে ফেলতে পারে। যেকোনো বার কোড ব্যবহার করা হয় তাৎক্ষণিক শনাক্তকরণের জন্য। কোনও পণ্য মজুত করা থেকে একেবারে বিক্রি পর্যন্ত ব্যবহার হয় এই বার কোডের। এমনকি চালানেও বার কোডের ব্যবহার করা হয়। বার কোড হল মূলত দুধরনের, ১ডি এবং ২ডি।

১ডি বারকোড স্ক্যান করা যায় ক্যামেরা ভিত্তিক কোনও স্ক্যানার বা লেজার স্ক্যানার দিয়ে। এতে একাধিক লাইন থাকে। যার মধ্য়ে রয়েছে লেখা তথ্য, যেমন কোনও পণ্য কী ধরনের, তার সাইজ এবং রং। পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড বা ইউপিসি পোস্টাল পরিষেবার মাধ্যমে প্যাকেজগুলো ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। 

barcode2

একইভাবে বইয়ের পিছনে যে আইএসবিএন নম্বর থাকে, তাও পোস্টাল মাধ্যমে ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। ২ডি বারকোড আরও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন। ২ডি বারকোড বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার বিশিষ্ট যেমন বিন্দু, আয়তক্ষেত্র, ষড়ভুজ এবং বর্গক্ষেত্র হতে পারে। ১ডি বারকোড একমাত্র ১ডি স্ক্যানার দিয়েই স্ক্যান করা যায়। ২ডি বারকোড যেকোনো কোণ থেকে স্ক্যান করা যায়। এমনকি কোনো কারণে ড্যামেজ হলে বা বারকোডের প্রিন্ট খারাপ হলেও স্ক্যান করা সম্ভব।                 


বিজ্ঞাপন


নরম্যান জোসেফ উডল্যান্ড প্রথম বারকোডের ধারণা সামনে এনেছিলেন। মোর্স কোড এবং বার্নার্ড সিলভারে দেখানোর জন্য বালির উপর একাধিক লাইন এঁকেছিলেন। ১৯৬৬ সালে পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয়।  প্রথম পণ্য হিসেবে স্ক্যান করা হয় রিগলি গাম। এরপর ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে এই বারকোড।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর