নারীদের টেনিসে এক সময়ের নম্বর ওয়ান তারকা ছিলেন। নিজের নামের পাশে রয়েছে দুইটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তবে বর্তমানে ক্যারিয়ারের বাজে সময় পার করছেন রোমানিয়ান তারকা সিমোনা হ্যালেপ। চার বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন তিনি। ডোপিং বিরোধী আইন অমান্য করায় এই শাস্তির মুখে পড়েছেন এই তারকা।
অ্যান্টি ডোপিং আইনের একটি নয় দুটি ধারা ভাঙার অভিযোগ রয়েছে সিমোনার বিরুদ্ধে। তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে তাঁর সামনে।
বিজ্ঞাপন
৩১ বছর বয়সি রোমানিয়ান তারকা উইম্বলডনের পাশাপাশি জিতেছিলেন ইউএস ওপেনের খেতাবও। ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ইউএস ওপেনে নিষিদ্ধ রক্তের বুস্টার অর্থাৎ উত্তেজক রোক্সাডাসট্যাট ব্যবহারের। যদিও হ্যালেপ তা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি এর সপক্ষে প্রমাণ ও রয়েছে তাঁর হাতে। তিনি জানিয়েছেন খুব কম পরিমাণে অ্যানিমিয়া ড্রাগ তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছিল লাইসেন্সড সাপ্লিমেন্টের কন্টামিনেশান অর্থাৎ বিষক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে।
ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি জানিয়েছে, ‘২০২২ সালের ইউএস ওপেনের সময় হ্যালেপের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে নিষিদ্ধ শক্তি বর্ধক রোক্সাডুস্ট্যাট পাওয়া গিয়েছে।’ হ্যালেপ অবশ্য ডোপ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি কোনও নিষিদ্ধ ওষুধ খাননি। অসুস্থতার জন্য তাঁকে রক্তাল্পতার ওষুধ খেতে হয়েছিল। যে ওষুধ তিনি খেয়েছেন, তা নিষিদ্ধ নয়। হালেপ যে ওযুধ খাওয়ার দাবি করেছেন, তা খেলে শরীরে কিছু পরিমাণ রোক্সাডুস্ট্যাট থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর শরীরে যে পরিমাণ রোক্সাডুস্ট্যাট পাওয়া গিয়েছে, তা তাঁর দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি।
বিজ্ঞাপন
হ্যালেপের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ডোপিং আইনের দুটি ধারা ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে হ্যালেপ জানিয়েছেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্ত মানছি না। আমি অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ক্ষমতায় যতটা রয়েছে আমি ততদূর পর্যন্ত যাব। আমার সবটা দিয়ে লড়াই করব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে।’

