বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

যার দীক্ষায় বিশ্বসেরা হয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

যার দীক্ষায় বিশ্বসেরা হয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক 

লিওনেল মেসি- ডি মারিয়াদের হাত ধরে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা পেয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। অধরা সেই শিরোপা জয়ের পর বলা হয় ফুটবলের সব ট্রফি নিজের করে নিয়েছেন লিও মেসি। তবে আলবিসেলেস্তেদের তৃতীয় শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসার পেছনের নায়ক ছিলেন আর্জেন্টাইন বাজপাখি খ্যাত গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফাইনালে তার অবিশ্বাস্য ১২৩ মিনিটের মুহূর্ত থেকে শুরু করে ট্রাইবেকারের পারফর্ম্যান্সে বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে লিওনেল স্ক্যালোনির দল। কিন্তু এমির দুর্দান্ত সেই নৈপুণ্যের পেছনের কারিগর আড়ালেই রয়ে গেছেন। 

কাতারে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকে ফাইনাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার গোলবারের নিচে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ছিলেন মার্টিনেজ। এমনকি ফাইনালে ফরাসিদের হারিয়ে তিন যুগের শিরোপা খরা কাটাতে এই গোলরক্ষকের ভূমিকা অভাবনীয়।


বিজ্ঞাপন


বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ ছিলেন মার্টিন তোকালি। ৪৯ বছর বয়সী এই কোচের দীক্ষায় নিজেদের সেরাটা দেন এমি। ফ্রান্সের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটের আগে মার্টিনেজের সাথে একান্ত আলাপ করেছিলেন তোকালি। তিনি এমিলিয়ানোকে বলেছিলেন, "সামনের দিকে এগিয়ে যাও এবং ম্যাচটি নিজের মতো করে শেষ কর, আমরাই বিশ্বকাপ জিতব।" 

পুরো আসর জুড়েই তোকালি এমির ছায়া হয়েছিলেন। ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও নিজের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তার দীক্ষায় যেন অন্যরকম এক গোলরক্ষককে দেখতে পায় আর্জেন্টাইনরা। এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে। স্বপ্নযাত্রার এই নেপথ্য সবাই আনন্দে ভাসছে। সেখানে বাদ যাননি মার্টিনেজও। গতকাল (সোমবার) তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায়, মার্টিনেজ তার পায়ে ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি সম্বলিত ট্যাটু করিয়েছেন।

মার্টিনেজের ট্যাটুতে জায়গা পেয়েছে আর্জেন্টিনার তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি। সেখানে তিনটি তারার নিচে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের সালও। তাছাড়াও ট্রফির নিচে এমি লিখেছেন, ‘আবেগ, তোমাকে গৌরবের দিকে নিয়ে যেতে পারে’।

এমএএম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর