কাতারে মিশন হেক্সা পূরণ হবে, এমন একবুক আশা নিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গিয়েছিলেন সেলেসাওরা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের খেলায় দুর্দান্ত সূচনা করেও শেষটা নিজেদের মতো করে রাঙাতে পারেনি নেইমার জুনিয়ররা। শেষ ষোলোতে রাশিয়া আসরের রানার্স আপ দল ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তিতের দলকে। ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় এবার লাতিন আমেরিকার দেশটির সামনে। তাই তারকা ফুটবলার পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার আগামী বিশ্বকাপ শিরোপার পাশে নিজের নাম লেখাতে চান।
কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের দেওয়া গোলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিল ব্রাজিল। তবে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ১-১ গোলের সমতার পর টাইব্রেকারে হেরে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর ১০৬তম মিনিটে দলের প্রাণভোমরা নেইমারের করা গোলেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে কিংবদন্তি পেলের পাশে বসেন এই পিএসজি ফরোয়ার্ড। ১১৭তম মিনিটে সমতা টানেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে খেলতে নামা ব্রুনো পেতকোভিচ। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে উৎসবে মাতে ক্রোয়েটরা। ঐদিনের হারের পর নেইমার কিছুটা আবেগের বশবর্তী হয়েই যেন এক সময় বলে দিয়েছিলেন যে জাতীয় দলের হয়ে তার খেলা প্রায় অনিশ্চিত।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু গতকাল ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘টেরা’-কে তিনি জানিয়েছেন যে, “চার বছর পরের ‘যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা’-তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও আমি অংশগ্রহণ করতে চাই ও সেই আসরে জয়ের জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি।”
তিনি আরও জানান, “লিওনেল মেসি যেমন তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ জিতে বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে তিনি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আমিও তেমনি চার বছর পর একই কাজ করতে চাই ব্রাজিলের হয়ে। সে আমাকে এই বিষয়ে অনুপ্রাণিত করেছে।”
উল্লেখ্য, আমেরিকায় সেলেসাওদের জয়ের একটি ভালো ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। কারণ ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল তাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ জিতেছিল। আর সেই আসরটির আয়োজন করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এসসিএন/এমএএম/আইএইচ