রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

আইসিসির বণ্টন মডেলে বৈষম্য বাড়াবে, বাধার মুখে পড়বে ক্রিকেটে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ০৫:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

আইসিসির বণ্টন মডেলে বৈষম্য বাড়াবে, বাধার মুখে পড়বে ক্রিকেটে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) তাদের আয়ের একটি অংশ বরাবরের মতো বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডকে দিয়ে আসছে। যেখানে সবসময় ভারতের আধিপত্য দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগামী চার বছরে (২০২৪-২০২৭) আইসিসির আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ পাবে বিসিসিআই। বছরে তারা পাবে প্রায় ২৪৯২ কোটি টাকা (২৩১ মিলিয়ন ডলার)। আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন রাজস্ব-বন্টন মডেল নিয়ে এরই মাঝে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এবার সহযোগী দেশগুলোকেও নিজেদের পাশে পাচ্ছে পিসিবি। আর্থিক দিক নিয়ে রীতিমতো শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বল্পোন্নত ক্রিকেটীয় দেশগুলোর কর্তারা।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে (২০২৪-২০২৭) মৌসুমের আয়ের পরিকল্পনার তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়, আগামী চার বছর আইসিসির ঘরে যে রাজস্ব ঢুকবে, সেটা বিভিন্ন দেশের মধ্যে কীভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে, তা নিয়ে একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে ডারবানে আইসিসির বোর্ড সভায় এটি অনুমোদন পেতে পারে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে আইসিসির বেশ কয়েকটি সহযোগী দেশের আশঙ্কা, নতুন এই কাঠামো অনুমোদন পেয়ে গেলে ক্রিকেটের প্রসারই থমকে যাবে। তাদের দাবি ক্রিকেট থেকে মুখ ঘুরিয়েও নিতে পারে বেশ কয়েকটি দেশ।

আইসিসি প্রধান নির্বাহী কমিটির তিন সহযোগী সদস্য প্রতিনিধির একজন সুমোদ দামোদর মঙ্গলবার এ নিয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত এই কাঠামো সহযোগী দেশগুলির চাহিদা পূরণ করবে না। প্রস্তাবিত মডেলটি যদি অনুমোদন পায় তাহলে একজন সহযোগী সদস্য প্রতিনিধি হিসেবে আমি হতাশ হব। সহযোগী সদস্যদের জন্য এটি অপর্যাপ্ত হওয়ার অসংখ্য বাস্তবিক কারণ রয়েছে।’

এছাড়া ভানুয়াতু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টিম কাটলারের মতে, ‘প্রস্তাবিত এই কাঠামো ক্রিকেটের বড় ও ছোট দেশগুলির মধ্যে বৈষম্যই কেবল বাড়াবে। নতুন মডেলটি এখন বৃহত্তর ক্রিকেটীয় দেশগুলিকে আরও বেশি সুবিধা দেবে এবং প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি এই ভারসাম্যহীনতাকে বাড়িয়ে তুলবে, খেলার ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিতে পড়বে। দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, ক্রিকেট বিশ্বে এখন খেলাটি যে অবস্থানে আছে সেখান থেকে প্রসারিত হবে না যদি এর বৈশ্বিক তহবিল সত্যিকার অর্থেই প্রসারের লক্ষ্যে সমানভাবে বরাদ্দ না করা হয়।’

প্রস্তাবিত মডেলটি নিয়ে অবশ্য কিছুই জানায়নি আইসিসি। যদিও ইএসপিএন ক্রিকইনফোর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী চার বছরে আইসিসির সম্ভাব্য আয় প্রতি বছর ৬০ কোটি মার্কিন ডলার হবে। আর সেখান থেকে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড তথা বিসিসিআই একাই পাবে ২৩ কোটি মার্কিন ডলার (প্রতি বছর)। এটি মোট আয়ের প্রায় ৩৮.৫ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে পাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এক্ষেত্রে চতুর্থ সর্বোচ্চ অংশ ৩৪.৫১ মিলিয়ন ডলার বা ৫.৭৫ শতাংশ আয় পাবে পিসিবি। এ ছাড়া পূর্ণ সদস্য বাকি আট দেশের সবারই আয় হবে ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেখানে পাবে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের একটু বেশি, যা মোট আয়ের যা ৪.৪৬ শতাংশ।

অন্যদিকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম এক কোটি ৬৮ লাখ ডলার আয় করবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সবমিলিয়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২ দেশ সম্মিলিতভাবে পাবে মোট আয়ের ৮৮.৮১ শতাংশ। আর বাকিটা ভাগ করে দেওয়া হবে ৯৪টি সহযোগী দেশের মধ্যে।

এসটি/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর