মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কে জিতবে বিপিএলের শিরোপা মাশরাফি না ইমরুল! 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

কে জিতবে বিপিএলের শিরোপা মাশরাফি না ইমরুল! 

বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে শুরুতে ছিলো না ‘ডিআরএস’। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। সব মিলে বিপিএলের নবম আসর ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানান সমালোচনা। এসব কিছুকে পেছনে ফেলে পর্দা নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। আজ মিরপুরে ফাইনালের আগে শিরোপার ছোঁয়া লাগালো দেশের প্রথম মেট্রোরেলে। 

সচরাচর ফাইনালের আগে মিরপুর স্টেডিয়ামেই ফটোসেশন করে থাকে দুই দল। তবে এবার মাঠের বদলে নতুনত্ব এনেছে বিসিবি। কদিন আগে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। যা ঘিরে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এবার বিপিএলের ট্রফি নিয়ে মেট্রোরেলে ফাইনালের দুই অধিনায়ক। মেট্রোরেলে বসে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও সিলেটের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।


বিজ্ঞাপন


এদিকে ফাইনালের সমীকরণটা দারুণ -  ইমরুল ফাইনালে ওঠে বিপিএলের হয়ে কখনও হারেনি। অপরদিকে প্রথমবার ফাইনাল ওঠা সিলেট অধিনায়কে ফাইনালে হারাতে পারেনি কোনও প্রতিপক্ষ। মাশরাফির দল ফাইনালে উঠলে প্রতিবারই জিতেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে চার শিরোপা জয়ের রেকর্ডধারী। এদিকে কুমিল্লা মাশরাফীর নেতৃত্বেই প্রথম শিরোপা জিতেছিল ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ এবং ২০২২ আসরে ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেই থেমেছে দলটি। আর গত দুবারের অধিনায়ক ছিলেন ইমরুল কায়েস।

চলতি আসরে দুই দল তিনবার মুখোমুখি হয় যার বিপরীতে দুই জয় ইমরুল কায়েসের দলের। অপরদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর সিলেটকে ফাইনালে চেয়ে পেয়েও গেছেন ইমরুল। এবার নিজেদের চ্যালেঞ্জটা জিততে চান তিনি বলেন, ‘দেখুন একটা দলকে আমরা দুবার ১২০ (১৩৩, ১২৫) এর ভেতর অলআউট করেছি। তো আমার মনে হয় আমাদের বোলিং আক্রমণটা তাদের আটকে দেওয়ার জন্য ভালো। কাল ভিন্ন কিছুও হতে পারে, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তো আমার চাওয়া থাকবেই, একটা দলকে যখন আপনি দুবার অলআউট করবেন কম রানে, তখন সে আত্মবিশ্বাসটা থাকে।’

অন্যদিকে সিলেটের ওপনার নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন দল প্রতিপক্ষের দিকে তাকাচ্ছে না। নিজেদের পরিকল্পনা রেখে সঠিক পথে এগোতে চান, ‘আমরা কার বিপক্ষে খেলছি এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদের লক্ষ্য হলো যে পরিকল্পনাগুলো কাল কীভাবে প্রয়োগ করব। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে।’

এদিকে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে কুমিল্লা। কোয়ালিফায়ার ১ এর আগে তাদের বিদেশী সংযোজন তাদের জন্য বিস্ময়কর কাজ করেছে কারণ সুনীল নারিন ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ ছিলেন। অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত আইএল-১০এ আন্দ্রে রাসেল বেশ সাধারণ ছিলেন কিন্তু বিপিএলে ফিরে আসার পর, অলরাউন্ডার আবারও তার সম্ভাব্যতা বজায় রেখেছিলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলেছিলেন সিলেটের বিপক্ষে।


বিজ্ঞাপন


অপরদিকে সোমবার রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে এলিমিনেটর জিতে ফাইনালে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে সিলেট। যদিও কেউ, বিশেষ করে, ব্যাপক পার্থক্য তৈরি করেনি তবে তাদের ব্যাটিং ইউনিট সামগ্রিকভাবে ভাল স্পর্শে দেখা যাচ্ছে। লুক উড বল হাতে তিনটি এবং তানজিম হাসান সাকিব ও রুবেল হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। এখন, জয় সত্ত্বেও, উন্নতির অনেক জায়গা রয়ে গেছে। 

তবে মাশরাফী ও তার হাতে অবশ্যই উপস্থিত আছে। নয়তো এক দলকে টানা ১০ জয়ে ফাইনালে তোলা আর ওদিকে বড় নামহীন এক দলকে নিজে গুছিয়ে প্রথম আসরেই ফাইনালে নিয়ে আসা সহজ কথা নয়। এবার দেখার হবে ওই জাদুর কাঠি চূড়ান্ত ভাবে কার হাতে থাকে। সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। কার হাতে আসে নবম আসরের শিরোপা। 

এসটি 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর