ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। এর আগে হায়দরাবাদে এবং রায়পুরে পরপর দুটি ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল রোহিত শর্মার দল। আর ব্যাটে নেমে নিয়মরক্ষার ম্যাচেই ইতিহাস তৈরি করলেন রোহিত।
ব্যাট করেত নেমে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসি ব্যাটিং আরম্ভ করেন ওপেনার রোহিত শর্মা-শুভমান গিল। ফলে দুই ওপেনার আসে একের পর এক শতরান। এছাড়া ওপেনিং জুটিতে আসে ২০০ রানের বেশি পার্টনারশিপ। এতে চলতি বছর বিশ্বকাপের আগে টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে শুভমান গিল।
বিজ্ঞাপন
ওডিআই বিশ্বকাপের বছরে নতুন ভারতীয় ওপেনিং জুটি যে অসাধারণ ফর্মে রয়েছে তা অনেকটাই তৃপ্তি দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সাধারণ ব্যাটিং করে আজ রোহিত শর্মা একটি রেকর্ড নিজের নামে করে নিয়েছেন। আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ওডিআই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ডটি ছিল প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নামে ২২৯। গত দুই বছরে সেই রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু আজ ৬টি ছক্কা মেরে ওডিআই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ডে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া ২৭০ পেছনে ফেলে দিয়েছেন।
এছাড়া তিন বছর ও ১৭ ম্যাচ পর ভারতীয় হিটম্যানের ব্যাটে আসে শতরান। এর আগে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে রোহিতের ব্যাটে আসে শতরান। ফলে তিন বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে আবার শতরান এল রোহিতের ব্যাটে। মাঝে একাধিক অর্ধশতরান এলেও শতরান আসছিল না। বিরাট কোহলিও দীর্ঘ দিন শতরান পাচ্ছিলেন না। গত বছর শতরান করেছিলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের বছর রোহিত রানে ফেরায় স্বস্তি দিচ্ছে ভারতীয় দলে।
এই শতরানের সুবাদে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারেদর তালিকায় যুগ্মভাবে তিন নম্বরে উঠে আসেন রোহিত। তিনি ছুঁয়ে ফেলেন রিকি পন্টিংকে। পন্টিং ৩৭৫টি ওয়ান ডে ম্যাচের ৩৬৫টি ইনিংসে ৩০টি সেঞ্চুরি করেন। রোহিত ২৪১টি ওয়ান ডে ম্যাচের ২৩৪টি ইনিংসে ৩০টি শতরান করেন।
অন্যদিকে, ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ২১২ রানের জুটির পর, মিডল অর্ডারে খুব একটা বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারলেন না। ফলে নিউজিল্যান্ড, ভারতের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর লড়াইয়ে ফিরে আসে। না হলে ভারতের ৪০০ রান তোলা আটকানো যেত না। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার কিছুটা চেষ্টা ৫৪ রানের ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।