বৃহস্পতিবার বাঁচা–মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরব আমিরাতে রেকর্ড ১৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও শেষ ওভারে হেরে গেল বাংলাদেশ। দুই দিনের ব্যবধানে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে শেষ দিকের খেই হারানো বোলিংয়ে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়ল লাল-সবুজের দল। আগামী মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই এখন সামনের দিকে তাকানোর ইঙ্গিত দিলেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। সেইসাথে জানালেন, দলে যারা পারফর্ম করবে না তারা অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে না।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শেষ ওভারে গিয়ে ২ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। তাতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে দাসুন শানাকার দল। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার পর দুটি ম্যাচেই হেরেছ বাংলাদেশ। এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই টাইগারদের সামনে। সে ভাবনায় প্রধান বিষয় বিশ্বকাপ। এ বিষয়ে একমত সাকিবও।
বিজ্ঞাপন
আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া কথা বলেন সাকিব। সেইসাথে মিরাজকে ওপেনিং করানো ও সামনের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে পেসারদের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন টাইগার অলরাউন্ডার।
শুরুতেই সাকিব বলেন, ‘আসলে দেখুন আমি নতুন করে টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন্সি পেলাম। এই দুইটা ম্যাচ থেকে শুরু হলো। আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচ ছিল। শ্রীরামের জন্যও ফার্স্ট ম্যাচ ছিল। আমাদের যখন নতুন করে শুরু করতে হয়, অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। এত ইজি নাহ। সব যদি পুরানো থাকতো। কিংবা আরো যদি চার পাঁচটা ম্যাচ কিংবা সিরিজ আগে থেকে ইয়ে থাকতো ( খেলা হতো) তাহলে হয়তো আগে থেকে প্ল্যান করতে পারতাম। যেটা হয়েছে যে, এখন থেকে আমাদের প্ল্যানিংটা শুরু হয়েছে। সেটা ছিল আফগানিস্তানের সাথে। কিছু রাইট হবে, কিছু রং হবে। এখানে ভুল ডিসিশন, ঠিক ডিসিশন ইয়ে (বলে কথা) নাই।’

মেহেদী হাসান মিরাজ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘মিরাজ সবসময় আমাদের ওপেনিংয়ের চিন্তায় ছিল, আমরা করাবো (ওপেনিং)। যেহেতু আমরা ওরকম একজন ইয়ে (ওপেনার) পাচ্ছিলাম নাহ। সো ওই চিন্তাটা সবসময় আমাদের ভেতরে ছিল। হ্যাঁ, আমরা ডিসিশন যখন নিই। সবাই মিলেই নিই। এবং ওই ম্যাচের (আফগানিস্তান ম্যাচ) সময় আমরা নিতে পারিনি ওই ডিসিশনটা। নিলেই যে ও রান করত, এটা না। আজকে সাব্বির এবং মিরাজ যে শুরুটা করেছে, এমন যদি না হতো। আবার এটা নিয়ে কথা হতো।’
বিজ্ঞাপন
‘এই জিনিসগুলা আসলে থাকবেই। আমরা জানি যে আমরা কি করছি। আমাদের একটা প্ল্যান আছে। আমরা দেশ থেকে আসার আগেই প্রেস কনফারেন্সে বলছিলাম যে আমাদের একটা গোল আছে এবং আমরা ওইদিকেই আগাচ্ছি। আরও বলতে চেয়েছিলাম যে, ধীরে ধীরে আমরা একটা জায়গায় যেতে চাই।’
অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পেস বোলারদের গুরুত্ব নিয়ে টাইগার দলপতি বলেন, ‘যেহেতু ওয়ার্ল্ড কাপের আগে আমাদের আরও চারটা ম্যাচ থাকবে নিউজিল্যান্ডে। সো, সেটা আমাদের হেল্প করবে আরও দেখতে। আমাদের এটা একটা ভালো আই ওপেনার যে আমরা প্রেশার সিচুয়েশনে কেমন বোলিং করি। এই ধরনের পিচে আপনার ১২ ওভার পেস বোলিং করতেই হবে। মানে আমি বলছি না যে করতেই হবে, বাট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি ৩ ফাস্ট বোলারের থেকে আপনি ১২ ওভার এক্সপেক্ট করেন। এটলিস্ট ১০ টি ভালো ওভার এক্সপেক্ট করেন।’
যারা ভালো পারফর্ম করতে পারবে না তারা বিশ্বকাপের দলে জায়গা হারাবেন বলে জানালেন সাকিব, ‘অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ১৪/১৫ ওভার পর্যন্ত এক্সপেক্ট করে ভালো পেস বল করার, সেখানে আমরা ১০ থেকে ১২ ওভার এক্সপেক্ট করছি। এবং এটা পেস বোলারদের ডেলিভার করতেই হবে। যারা ডেলিভার করতে পারবে তারা থাকবে। যারা করতে পারবে না, আসলে তারা থাকবে না। খুবই সিম্পল হিসাব এখানে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় আমাদের খুব বেশি পেস বোলারদের ওপর নির্ভর করতে হবে।’
এসও

