বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিশ্বকাপের আগে বিসিবির সার্কাস, মাহমুদউল্লাহর চেয়ারে সাকিব?

আহমদ ইশতিয়াক আনাম
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৯:০০ এএম

শেয়ার করুন:

বিশ্বকাপের আগে বিসিবির সার্কাস, মাহমুদউল্লাহর চেয়ারে সাকিব?

বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন সার্কাসের মঞ্চ। দল বা অধিনায়ক নির্বাচন থেকে শুরু করে কাউকে ছেঁটে ফেলা, বিসিবির এসব সিদ্ধান্ত প্রায়ই জন্ম দেয় প্রশ্নের। এইতো নুরুল হাসান সোহানের অধীনে বহুদিন পর টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং উপহার দিল বাংলাদেশ। কিন্তু লাভ কি তাতে, সিরিজ শেষেই যে হারাতে হবে দায়িত্ব! 

বিসিবিতে জোর গুঞ্জন টেস্টের পর এবার টি-টোয়েন্টির কাপ্তানের আসনেও বসতে চলেছেন সাকিব আল হাসান। এখানেই সামনে চলে আসে বোর্ডের পরিকল্পনাহীনতা। যে ক্রিকেটার প্রায় প্রতি সিরিজেই চেয়ে বসে ছুটি তাকে কেন এই দায়িত্বে বিবেচনা করতে হবে?


বিজ্ঞাপন


আর যদি বিবেচনা করতেই হয় সেক্ষেত্রে আড়াই মাস দূরে বিশ্বকাপ রেখে সাকিবের ছুটি মঞ্জুরই বা কেন করল বিসিবি? টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দুর্দশার কথা সবারই জানা। প্রস্তুতির সুযোগ বলতে ছিল কেবল জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও এশিয়া কাপ।

গত বিশ্বকাপের শোচনীয় পারফরম্যান্সের পরও বিশ্বকাপের আগে চলছে ক্রিকেট বোর্ডের সার্কাস। কেবল এশিয়া কাপে ক্যাপ্টেন্সি করে সাকিব কতটুকু পরিকল্পনা আঁটতে পারবেন বিশ্বকাপের জন্য সেই প্রশ্নও এড়ানো যায় না। 

তবে যথারীতি নিজেদের কাজের পিছনে যুক্তি প্রস্তুত আছে বিসিবির। এসব কার্যকলাপকে এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে দেখতে নারাজ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, 'সবাই বলছেন এক্সপেরিমেন্ট। কিন্তু এটা এক্সপেরিমেন্ট না। আমরা দেখছি জুনিয়রদের দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে যেমন খেলতে হয় ওভাবে খেলানো যায় কিনা। আমরা চেষ্টা করছি।'

যদি চেষ্টাই হবে তাহলে সোহানকে হটিয়ে আবার পুরনো সাকিব কেন? নতুনদের থেকে ভাল কিছু আশা করলে তাদের পর্যাপ্ত সময়টাও তো দিতে হবে। এদিকে অনেকদিন ধরেই বিসিবিতে সিনিয়র হটাও রব। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বিশ্বকাপের ঠিক আগেই কেন ছেঁটে ফেলতে হবে?

এসব বারবারই সাক্ষ্য দেয় বিসিবির পরিকল্পনাহীনতার। নতুবা ২০২১ বিশ্বকাপের পরই দল নিয়ে তথাকথিত 'চেষ্টা' করতে পারত তারা। তবে বর্তমানে কোন পরিকল্পনা না থাকলেও ভবিষ্যতে পরিকল্পনা করবেন বলে জানালেন জালাল ইউনূস।

সিনিয়র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'যদি দেখি যে এখান থেকে ভাল একটা ফল পাচ্ছি, তাইলে ওইভাবেই ভবিষ্যতে আমাদের প্ল্যান করতে হবে।'

আদতে যে টি-টোয়েন্টির 'মক্কা বহুদূর' সেটা অনেক আগেই বুঝে গেছেন 'চালাক সাকিব'। তাই অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হলেও বোর্ডকে সাফ বলে দিয়েছেন রাতারাতি কোন পরিবর্তন আশা না করতে। 

বিসিবি ও রাসেল ডমিঙ্গোর অযথা হস্তক্ষেপ করার অভ্যাসের কারণেই কিনা দল নির্বাচনে চেয়েছেন পূর্ণ স্বাধীনতা। যদিও সেই সুযোগ দেশসেরা অলরাউন্ডার কতটা পাবেন সেটা নিয়েও আছে শঙ্কা।

এদিকে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ পেতে পারেন একটি শেষ সুযোগ। সেক্ষেত্রে চলতি মাসের এশিয়া কাপ হতে পারে দুই সিনিয়রের আরও একবার নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ।

এআইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর