মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

গিলের শতকে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে গুজরাট 

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩, ১২:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

গিলের শতকে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে গুজরাট 

আইপিএলের ষোড়শ আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুভমান গিলের বিধ্বংসী শতকে ২৩৩  রানের বড় সংগ্রহ পায় গুজরাট। ২৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাটের বোলারদের ধারাবাহিক বোলিং তোপে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় ৫ বারের শিরোপাধারীরা। ফলে ৬২ রানের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত আইপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩৮ বলে ৫৪ রান যোগ করার পর সাহা ১৮ রান করে ফিরে গেলেও শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং চালিয়ে যান গিল। ৩২ বলে ফিফটি করা গুজরাটের এই ব্যাটারের ইনিংস শেষ হয় এ মৌসুমে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেবার পর। ৬০ বল খেলে ৭ টি চার আর ১০ টি ছয়ে ২১৫ স্ট্রাইকরেটে ১২৯ রান করেন গিল।নিজের তৃতীয় শতক পূরণ করতে বল খেলেছেন মাত্র ৪৯ টি।


বিজ্ঞাপন


 প্রথম উইকেট নেয়ার পর ১৬ ওভার পর্যন্ত গুজরাটের আর কোনো উইকেটই নিতে পারেনি মুম্বাইয়ের বোলাররা। সাহা ফিরে গেলে তিনে নামা ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন কে সঙ্গে নিয়ে ১৩৪ রানের জুটি গড়েন গিল। এ দুই ব্যাটসম্যানের মারকাটারি ব্যাটিং এ দ্রুত ঘুরতে থাকে রানের চাকা। কিন্তু সতের তম ওভারে মুম্বাইয়ের আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মাধওয়ালের বলে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় গিলের বিধ্বংসী ইনিংস,গুজরাটের রান তখন ১৯২।

গুজরাটের হয়ে চারে ব্যাটিং করতে আসা হার্দিক পান্ডিয়া ও সুদর্শন জুটি স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করলেও  ৩১ বলে ৪১ রান করা সুদর্শনকে সাজঘরে ফিরতে হয় রিটায়ার্ড আউট হয়ে। তবুও রানের চাকা থামেনি গুজরাটের।  অধিনায়ক পান্ডিয়ার ১৩ বলে ২ চার ও ২ ছয়ের ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২০ ওভারে ২৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় তারা।মুম্বাইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশ মাধওয়াল ও পিযুশ চাওলা।জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২৩৪।

গুজরাটের দেয়া বিশাল রানের টার্গেটে মুম্বাইয়ের হয়ে ইনিংস শুরু করেন রোহিত শর্মা ও ইম্প্যাক্ট সাবস্টিটিউট নেহাল ওয়াধেরা। কিন্তু প্রথম ওভারে মোহাম্মদ শামির করা পঞ্চম বলে স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ না হতেই ওয়াধেরা কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান।

 এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন ক্যামেরন গ্রিন,কিন্তু কয়েক বল খেলেই কনুইয়ে বল লাগায় চিকিৎসা নিতে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে,তখন সূর্যকুমার যাদব আসেন রোহিতের সাথে ব্যাটিং এ। পরের ওভারে আরও ৩ রান আসলেও মোহাম্মদ  শামির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই জস লিটলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন রোহিত শর্মা। দলীয় ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় মুম্বাই। এরপর সূর্যকুমারের সঙ্গী হন তিলক ভার্মা।


বিজ্ঞাপন


 মোহাম্মদ শামির তৃতীয় ওভারে চড়াও হয়ে এক ওভারেই চারটি চার ও এক ছয়ে ২৪ রান তুলেন তিলক। তিলকের এমন ঝড়ো ব্যাটিং এ বিপর্যয় কিছুটা সামলে ওঠার চেষ্টা করে মুম্বাই। ৫ ওভার শেষে পাচবারের চ্যাম্পিয়নদের রান দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৬৫। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারেই রশিদ খানের বলে আউট হন তিলক। ১৪ বলে পাচ চার ও ৩ ছয়ের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন তিনি। সপ্তম ওভারে আবারও মাঠে ফিরে আসেন গ্রিন।

এরপর সূর্যকুমার আর গ্রিনের প্রতিরোধে ম্যাচে ফিরতে থাকে মুম্বাই। ১১ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১২৩।  কিন্তু ফের আঘাত হানে গুজরাট। আইরিশ বোলার লিটলের বোলে বোল্ড হন গ্রিন। ২০ বলে ৩০ রান করে ফিরে গেলে মাঠে নামেন বিষ্ণু বিনোদ। এদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মুম্বাইয়ের হয়ে একাই লড়তে থাকেন সূর্যকুমার। ৩৩ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন তিনি, দলীয় রান তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৮। কিন্তু নিয়তি যেন সাথে ছিল না মুম্বাইয়ের। তাই তো ৬১ রান করে মোহিত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় একাই প্রতিরোধ গড়া সূর্যকুমারকে। এক বলই পরই মোহিত তুলে নেন বিষ্ণুর উইকেটও। মুম্বাইয়ের তখন প্রয়োজন ৩০ বলে ৭৮ রান, ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার-টিম ডেভুড ও ক্রিস জর্ডান। সূর্যকুমারের পর আর প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কেউই। টিম ডেভিডের সাথে বাকি উইকেট গুলোও দ্রতই তুলে নেয় তারা। মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ১৭১ রানে ১০ বল বাকি থাকতেই। ফলে ৬২ রানের বিশাল জয় পায় গুজরাট টাইটান্স। গুজরাটের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫ টি উইকেট নেন মোহিত শর্মা।

এ জয়ে দশমবারের মত আইপিএল ফাইনালে যাওয়া চেন্নাইয়ের সাথে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে লড়বে গুজরাট। ২৮ মে আহমেদাবাদের এই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ষোড়শ আসরের ফাইনাল।

আরএ/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর