ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় দিনে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বল নিয়েই প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার খালেদ আহমেদ। প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে অলআউট হলেও দিন শেষে ছন্দ পতন মুমিনুল হকদের। প্রোটিয়া স্পিনার সাইমন হার্মারের ঘূর্ণিতে কিংসমিডে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। দলীয় ২৫ রানেই হার্মারের স্পিনে সাদমান ইসলাম সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৯রান করে। চা বিরতির পর মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্তের ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছিল মমিনুল হকের দল। কিন্তু দিনের শেষভাগে এসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসনে নিয়ে যান আবারো সেই হার্মারই।
বিজ্ঞাপন
ডানহাতি বোলারের অফ স্পিনে সাদমানের মতো বোল্ড হয়ে যান বাঁহাতি ব্যাটার শান্তও। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে ক্রিজে নামেন অধিনায়ক মমিনুল হক।
হার্মারের স্পিনে রানের খাতায় খুলতে পারেননি টাইগার দলপতি। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি। দিন শেষ হওয়ার কিছুক্ষন আগে আবারও আঘাত হানেন প্রোটিয়া স্পিনার সাইমন হার্মার। এবার বাংলাদেশ দলের সব থেকে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
দলীয় ৯৪ রানে টাইগারদের ৪টি উইকেটের পতন ঘটে। শেষদিকে নাইট ওয়াচ ম্যান হিসেবে তাসকিন আহমেদ নামেন। মাহমুদুল হাসান জয় শুধু এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ৪৪ রান করে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে আর কোন উইকেটের পতন ঘটেনি টাইগারদের।
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) April 1, 2022
এর আগে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ধস নামান টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ। ৮৩ তম ওভারে পর পর দুই বলে দুই উইকেট নেন টাইগার পেসার।
দলীয় ২৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপের দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ব্যাটার কাইল ভেরেইন খালেদের ইন সুইং ডেলিভারীতে লেগ বি ফরের ফাঁদে পড়েন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার অধিনায়ক বাভুমার সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে ও বাঁচতে পারেননি ভেরেইন। ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
ভেরেইন ফিরে গেলে ক্রিজে নামেন অলরাউন্ডার উয়ান মুল্ডার। ডারবানের কিংসমিডে মাত্র এক বল খেলতে পেড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। প্রথম বলেই খালেদের গতির কাছে পরাস্ত হন। স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে মুল্ডারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মাহমুদুল হাসান জয়।
নতুন ব্যাটার কেশভ মহারাজ ও বাভুমা স্বাগতিকদের ইনিংস মেরামতের কাজ করছিলেন। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন। নিশ্চিত শতক হতে মাত্র ৭ রান দূরে থাকা প্রোটিয়া অধিনায়ক মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
অধিনায়ক টেম্ভা বাভুমা ফিরে যাওয়ার পরের ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এবাদত হোসেন। ৪০ বলে ১৯ রান করে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি স্পিনার।
শেষ দিকে সাইমন হার্মারের ব্যাট হতে গুরুত্বপূর্ণ রান আসে। প্রোটিয়াদের ২৯৮ রানে ৮ উইকেট পড়ে গেলেও লিজার্ড উইলিয়ামস ও ডোয়াইন অলিভিয়েরকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৬৯ রান যোগ করে হার্মার। ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন অফ স্পিনার সাইমন হার্মার।
বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৩টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ২টি উইকেট নেন এবাদত হোসেন।
এমএএম