ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিন আগেই অভিষেক হয়েছিল জাকির হাসানের। পরীক্ষা দিতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন এই ব্যাটার। শুরু থেকেই সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে কিছুটা বিব্রতও হয়েছিলেন। বেশি রান না পেলেও বিপদের মুহূর্তে ব্যাট হাতে হাল ধরে রেখেছিলেন জাকির। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলেন তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমেছে ভারত-বাংলাদেশ। প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে শেষ করা ভারত দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল। তবে অশ্বিন-যাদব জুটিতে ভর করে ৪০৪ রান করে অলআউট হয় লোকেশ রাহুলের দল।
বিজ্ঞাপন
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হাসান শান্ত। আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। মুশফিকুর রহিম থিতু হয়ে ম্যাচে ফিরতে চাইলেও যাদবের বলে এল্বি ডাব্লিউ হয়ে টাগারদের শেষ আশা নিরাশ করে এই ব্যাটার। শেষ মুহূর্তে মিরাজ-এবাদত ফলোঅন এড়াতে লড়ে যাচ্ছে। ফলে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ।
অপরদিকে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা এড়াতে হলে এখনও ৭১ রান করতে হবে টাইগারদের, হাতে আছে দুই উইকেট।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভারতের প্রথম ইনিংসের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের করা ওয়াইড লেংথের বলে উইকেটরক্ষক রিশভ পন্তকে ক্যাচ দেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা ইয়াসির আলি এসেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উমেশ যাদবের বলে ইনসাইড-এজ হয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফেরার আগে ১৭ বলে ৪ রান করেন ইয়াসির।
তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটন দাস ও জাকির হাসানের ব্যাটে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই আক্রমণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আশা-ভরসার পাত্র লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাতে বাগড়া দেন ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ। লিটন আউট হন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। ৩০ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছারের মার। অভিষিক্ত জাকির হাসানও জ্বলে উঠতে পারেননি। ভালো ইনটেন্ট দেখিয়েও তিনি আউট সিরাজের বলে, ২০ রানে।
বিজ্ঞাপন
জাকিরের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন সাকিব আল হাসান। ২৫ বল খেলে ৩ রান করে তিনি কুলদীপ যাদবের শিকারে পরিণত হন। এরপর শর্ট লেগে শুভমান গিলের চমৎকার রিফ্লেক্স ক্যাচে বিদায় নেন নুরুল হাসান সোহান। ৯৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
চরম বিপর্যয়ে পড়া দলকে টানতে পারলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। তাকে এলবিডব্লিউ করার পর তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করে করেন কুলদিপ যাদব।
উইকেট হারানোর মিছিলে দিন শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে মিরাজ আর এবাদতের ব্যাটে কোনো মতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ৩৫ বল খেলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। এছাড়া এবাদত ২৭ বল খেলে করেছেন ১৩ রান।
ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব নিয়েছেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। এছাড়া সিরাজের দখলে গেছে তিনটি উইকেট।

