শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আনন্দক্ষণেও বাফুফে চত্বরে ভূতুড়ে পরিবেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

আনন্দক্ষণেও বাফুফে চত্বরে ভূতুড়ে পরিবেশ

সারাদেশ যখন উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা তখন ফুটবলের আতুরঘর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যেন অনেকটা বিবর্ণ। নেই কোনো সাজসজ্জা। আলোকসজ্জা তো দূরে থাক স্বাভাবিক আলোর দেখাও নেই এখানে। ভবনের ঠিক উপরের একটি লাইট সামনের দিকে যতটুকু সম্ভব আলো ছড়িয়েছে, বাকি এলাকা অনেকটাই অন্ধকার। অবশ্য টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারের কারণে অনেক জায়গা আলোকিত হয়েছে। 

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ান হয়ে নারী ফুটবল দল দেশের মাটিতে দুপুরে রাখলেও তাদের মতিঝিলে আসতে লম্বা সময় লেগেছে। 


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দরে নামার পর সেখানকার সংবর্ধনা শেষ করে ধীরে ধীরে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফের দিকে এগিয়ে আসে মেয়েরা। রাত সাতটার পর তাদের বনহনকারী বাসটি এসে পৌঁছায় মতিঝিলের বাফুফে ভবনের পেছনে। 

ততক্ষণে এই এলাকায় জড়ো হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। অনেকে এসেছেন প্লাকার্ড হাতে। কেউ আবার ফুল হাতে। কিন্তু দিনের আলো শেষে রাতের অন্ধকার নেমে এলেও আলোর স্বল্পতা যেন কাউকে দেখা যাচ্ছিলো না। বিষয়টি নিয়ে অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। কেউ আবার টিপ্পনিও কেটেছেন।

ss

সন্ধ্যার আগে বাফুফের মূল ফটকের সামনে চায়ের দোকানে মতিঝিলের দুই বাসিন্দা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে কথা বলছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে যেন সব ক্ষোভ ঢেলে দিচ্ছিলেন তারা।


বিজ্ঞাপন


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ‘বিমানবন্দরে এতকিছু করলো, যেইখানে মেয়েরা বড় হলো তাদের জায়গায় অন্ধকার। গেটে একটা ব্যানারও লাগানো গেল না। সালাউদ্দিন সাহেবের কি আসলেই টাকা নেই।’
পাশ  থেকে এসময় একজন টিপ্পনি কেটে বলেন, চলেন মিয়া শাহবাগ থেকে একটা ফুলের তোড়া কিনে দেই। দেখা গেল ফুল কিনতেও ভুলে গেছে।

সাবিনা-সানজিদাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কভার করতে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীরাও নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে কথা বলেছেন। একজন কাজী সালাউদ্দিন আহমেদকে প্রশ্ন করেছেন, মেয়েদের জন্য একটা লাল গালিচার ব্যবস্থা করা যেত না? 

জবাবে তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, ‘ আমি খেলোয়ার মানুষ। আয়োজনের এত কিছু ভালো বুঝি না।’ সুত্রাপুর থেকে আসা সেলিম নামের একজন বলেন, ভবনটায় আজকে যদি একটু লাইটিং করত তাতে আর কতটাকা খরচ হত? দেখতেও সুন্দর লাগত। মেয়েরাও বুঝত না বাফুফে কিছু আয়োজন করেছে।

auto

এদিকে নারী ফুটবলাররা বাফুফেতে পৌঁছার পর গেটে তাদের থেকে বয়সে ছোট খেলোয়াররা ফুল দিয়ে বরণ করে। যদিও এই সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চরম বিশৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে তারা ভবনে প্রবেশ করেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গেও বাফুফের কেউ কেউ খারাপ ব্যবহার করেন।

পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় দ্বিতীয় তলায় বোর্ড রুমে। সেখানে বিশ্রামের ফাঁকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পরে সাড়ে আটটার দিকে তাদের সঙ্গে নিয়ে মিডিয়া রুমে যান বাফুফের কর্তা ব্যক্তিরা।

বিইউ/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর