অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটার ড্যামিয়েন মার্টিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত ৫৪ বছর বয়সী মার্টিন বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ইনডিউসড কোমায় রয়েছেন।
বক্সিং ডে-তে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মার্টিন। মঙ্গলবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার খবর প্রকাশ্যে আসে এবং পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ইএসপিএনক্রিকইনফো। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে সমর্থন জানাতে শুরু করেন সাবেক সতীর্থ ও ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ড্যারেন লেম্যান এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “ড্যামিয়েন মার্টিনের জন্য অনেক ভালোবাসা আর প্রার্থনা। শক্ত থাকো কিংবদন্তি। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা।”
পরিবারের পক্ষ থেকে কথা বলতে গিয়ে মার্টিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, “ড্যামিয়েন সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাচ্ছে। তার সঙ্গী আমান্ডা ও পরিবার জানে। অসংখ্য মানুষ তাদের প্রার্থনা ও শুভকামনা জানাচ্ছেন।”
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ড্যামিয়েনের অসুস্থতার খবর শুনে আমরা খুবই দুঃখিত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও পুরো ক্রিকেট পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা।”
স্টাইলিশ স্ট্রোকপ্লের জন্য পরিচিত ড্যামিয়েন মার্টিন ১৯৯২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন। ২০০০ সালে ছয় বছরের বিরতির পর দলে ফিরে স্টিভ ওয়াহর নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৬ সালের অ্যাশেজ চলাকালীন অবসর নেন মার্টিন। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩টি সেঞ্চুরিসহ তার রান ছিল ৪৪০৬, গড় ৪৬.৩৭।
বিজ্ঞাপন
ওয়ানডেতেও মার্টিন ছিলেন অত্যন্ত সফল। ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে অপরাজিত ৮৮ রান করেন। ওই ম্যাচে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩৪ রানের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫টি সেঞ্চুরিসহ তার মোট রান ৫৩৪৬, গড় ৪০.৮০। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কিছুদিন ধারাভাষ্যে থাকলেও পরে অনেকটাই আড়ালে চলে যান মার্টিন। চলতি বছরের ক্রিসমাস ইভে বক্সিং ডে টেস্ট নিয়ে এক্সে লিখেছিলেন, “পুরোনো প্রজন্ম যদি আবার খেলতে পারত, তাহলে এই ম্যাচটাই হতো। বক্সিং ডে টেস্ট- কী ভয়ংকর এক মঞ্চ!”
ড্যামিয়েন মার্টিনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

