চলতি বিপিএলের শুরুতেই ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ম্যাচে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। এই দুই ইনিংসেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের সহকারী কোচ রাজিন সালেহ মনে করেন, পারফরম্যান্স দিয়েই সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন শান্ত। তার মতে, শান্ত নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলছেন, আর তাতেই সফল হচ্ছেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শান্তর ব্যাটিং নিয়ে আগে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। স্ট্রাইক রেট, ব্যাটিং স্টাইল কিংবা এই ফরম্যাটে তার উপযোগিতা সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলেও। একসময় টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি একাদশের বাইরেও থাকতে হয়েছে তাকে।
বিজ্ঞাপন
তবে এবারের বিপিএলে দেখা যাচ্ছে একেবারে ভিন্ন এক শান্তকে। গত আসরে যেখানে পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫৬ রান করেছিলেন, সেখানে এবার প্রথম ম্যাচেই খেলেছেন অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস। উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট টাইটান্সের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রাজশাহীর জয় এসেছে মূলত শান্তর ওই সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই।
দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো শুরু করেছিলেন তিনি। ২৮ বলে ৩৭ রান করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে দলের ব্যর্থতার ম্যাচে সেটিই ছিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। দুই ম্যাচ শেষে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত। তার সংগ্রহ ১৩৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৮১। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সামগ্রিক স্ট্রাইক রেট এখন ১১৮.৮৩।
সিলেটে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজিন সালেহ বলেন, “মাত্র দুই ম্যাচ দেখে বড় সিদ্ধান্ত দেওয়া ঠিক না। তবে শান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে অনেক কিছু প্রমাণ করেছে। তাকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়, সেটা ঠিক নয়।”
তবে তিন নম্বরে শান্ত দায়িত্ব ভালোভাবে সামলালেও রাজশাহীর ওপেনিং জুটি এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। সাহিবজাদা ফারহান প্রথম ম্যাচে ২০ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হন। তানজিদ হাসান করেছেন ১০ ও ২০ রান। রাজিন সালেহ বলেন, টপ অর্ডার থেকে আরও ভালো শুরু দরকার। বিশেষ করে তানজিদের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি। “তানজিদ আমাদের বড় পারফরমার। আমরা ওর কাছ থেকে ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি,” বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি আকবর আলি। যদিও তার নেতৃত্বেই সম্প্রতি বাংলাদেশ ‘এ’ দল এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছে এবং জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে রংপুরকে শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রাজিন বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় সমন্বয়কে বেশি গুরুত্ব দিই। আকবর ভালো ক্রিকেটার, তবে ম্যাচ পরিস্থিতি ও কম্বিনেশন অনুযায়ী একাদশ ঠিক করা হয়।”

