পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পরবর্তী আসর থেকে আরও দুটি নতুন দল যুক্ত করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এই দুই দলের জন্য প্রতি মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১.৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, অর্থাৎ ১৩০ কোটি রুপি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, নতুন দুটি দলের মালিকানা বিক্রির চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রাথমিক দরপত্র জমা দিয়েছে। পিসিবি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দর গ্রহণ করা হবে না।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কয়েক সপ্তাহ আগে মতবিরোধের কারণে মালিকানা ছেড়ে দেওয়া মুলতান সুলতানসের সাবেক মালিকরাও নতুন দুটি দলের জন্য প্রাথমিক বিড জমা দিয়েছেন।
মুলতান সুলতানস ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ মালিকানা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন রয়েছে, অন্তত পিএসএলের ১১তম আসর পর্যন্ত দলটি নিজেই পরিচালনা করতে পারে পিসিবি। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা পিএসএলের নতুন মৌসুম।
পিসিবির দাবি, নতুন দুটি দলের জন্য মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক দরপত্র জমা দিয়েছে, যার মধ্যে ৫টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তবে আর্থিক ও কারিগরি যাচাই শেষ না হওয়ায় এখনো চূড়ান্ত দরদাতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াতে পিসিবি লন্ডন ও নিউইয়র্কে পিএসএল রোডশোর আয়োজন করেছে। নতুন দলগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
বিজ্ঞাপন
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে পিসিবি রাজস্ব বণ্টনে বড় ঘোষণা দিয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, পিএসএলের ১১তম থেকে ১৫তম আসর পর্যন্ত। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে ন্যূনতম ৮৫ কোটি পাকিস্তানি রুপি, কোনো মৌসুমে আয় কম হলে সেই ঘাটতি পিসিবি নিজেই পূরণ করবে। লিগ সম্প্রসারণের পর আটটি দলই কেন্দ্রীয় রাজস্ব তহবিল থেকে সমান অংশ পাবে।
বর্তমানে পিএসএলের ছয়টি দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মূল্য। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স: ৩৬ কোটি রুপি, পেশোয়ার জালমি: ৪৮ কোটি রুপি, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড: ৪৯ কোটি রুপি, করাচি কিংস: ৬৫ কোটি রুপি, লাহোর কালান্দার্স: ৬৭ কোটি রুপি, মুলতান সুলতানস: ১৮০ কোটি রুপি (সবচেয়ে বেশি)।
পিসিবি জানিয়েছে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পিএসএল ড্রাফটে খেলোয়াড় কিনতে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করতে পারবে।
মুলতান সুলতানসের সাবেক মালিক আলী তারিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, রাজস্ব বণ্টনে বৈষম্যের কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো লোকসানে পড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে পিসিবির নতুন আর্থিক নিশ্চয়তা ও লিগ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তকে পিএসএলের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

