বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) লম্বা সময় দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হোসেন পাপন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিসিবিতেও পরিবর্তন আসে। এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে পাপনের বোর্ডের নানা দুর্নীতির কথা। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছাড়েন পাপন। এরপর বিসিবির সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। ৯ মাস পর তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এই দায়িত্বে বসানো হয় আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।
বিসিবির সবশেষ নির্বাচনে বুলবুলই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এদিকে বুলবুলের বোর্ডের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন। দিপনের দাবি, গত ছয় মাসেই পাপনের ১৫ বছরের সমান দুর্নীতি হয়েছে বিসিবিতে।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমকে দিপন বলেন, ‘একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে শতভাগ নিশ্চিত করে বলছি, পাপনের ১৫ বছরের সমান দুর্নীতি হয়েছে সবশেষ ছয় মাসে। অনেকের ধারণার বাইরে ছিল। বোর্ডে না ঢুকলে বিশ্বাস হতো না এরা এত দুর্নীতি করে।’
তবে দিপনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এটা তাঁর (দিপন) সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত। আমি বলতে পারি যে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত এবং এই ধরনের কোনো অডিট বা কোনো কাজ আমরা করছি না। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে যে পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে যা হয়নি, এখন সেগুলো আমাদের করা উচিত। আপনারা জানেন যে আমরা একটা ট্রানজিশনের মধ্যে আছি। একটা সময় দেশের ক্রিকেট এমনও হয়েছে যে ১ ওভারে ৯০ রানও দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু পিচের মাটি কেনার পরেও মাটির কোনো হদিস নেই। এখন সেসব নিয়ে অডিট চলছে। কিন্তু আমি দুর্নীতির বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।

