প্যারিস সাঁ জার্মাঁ (পিএসজি) নাকি তাদের কোচ লুইস এনরিকের জন্য একেবারে নজিরবিহীন এক চুক্তির কথা ভাবছে। স্প্যানিশ এই কোচকে ২০২৩ সালে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিয়োগ দেয় ফরাসি জায়ান্টরা। এরপর থেকেই প্যারিসের ক্লাবটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এনরিকে।
তার অধীনে পিএসজি গত মৌসুমে জেতে ক্লাব ইতিহাসের প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, যা তাকে ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সফল কোচে পরিণত করেছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৩ ম্যাচে এনরিকের জয় ৯৮টি, ড্র ২৬টি এবং হার ১৯টি। অর্থাৎ তার জয়ের হার ৬৮.৫৩ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী এনরিকের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ডিয়ারিও এএস জানিয়েছে, পিএসজি কর্তৃপক্ষ তাকে আরও দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করছে যাকে কার্যত ‘লাইফটাইম কনট্রাক্ট’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসে আসার পর থেকে এনরিকের পারফরম্যান্সে ভীষণ সন্তুষ্ট ক্লাবের শীর্ষ মহল। ভবিষ্যতেও দীর্ঘ সময় ধরে তাকেই দলের নেতৃত্বে দেখতে চায় তারা। পিএসজির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এনরিককে গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহান্তে ফরাসি কাপে পিএসজির মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্চম স্তরের দল ভঁদে ফঁতেনি ফুট। ম্যাচে দেজিরে দুয়ে ও উসমান দেম্বেলের একটি করে গোলের সঙ্গে গনসালো রামোসের জোড়া গোলে ৪-০ ব্যবধানে স্বস্তিদায়ক জয় পায় পিএসজি।
ম্যাচ শেষে এনরিক বলেন, “এই ধরনের পরিবেশে কাপ ম্যাচ খেলতে ভালো লাগে। পুরোটা ছিল এক ধরনের উদযাপন। তবে আমরা ম্যাচটাকে গুরুত্ব দিয়েই খেলেছি। ভিন্ন মানের দলের বিপক্ষে খেলা সব সময় সহজ নয়। ব্যবধানটা বড় ছিল, কিন্তু আমরা ম্যাচের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এবং খেলোয়াড়রাও দারুণ খেলেছে।”
২০২৫ সালকে পিএসজির জন্য বিশেষ বছর হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এটা ক্লাবের জন্য ঐতিহাসিক। সাধারণত মৌসুম শেষ হলে মূল্যায়ন করা হয়। আমরা এখন ২০২৫-২৬ মৌসুমে আছি, তাই এটাই পর্যালোচনার সময় নয়। তবে কেবল ২০২৫ সালের কথাই যদি বলি, তাহলে নিঃসন্দেহে এটি প্যারিস সাঁ জার্মাঁর ইতিহাসে একটি বিশেষ বছর।”
বিজ্ঞাপন
শেষে এনরিক যোগ করেন, “আমরা খুশি। একই সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটির অপেক্ষাতেও আছি। এই বিরতিটা আমাদের জন্য খুব দরকারি। ছুটি শেষে আবার নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরব এবং মৌসুমের বাকি অংশ নিয়ে ভাবব।”

