অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আর এবারের অ্যাশেজ সিরিজে মাঠে নামছেন না। এমনকি আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কামিন্সের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না নির্বাচক ও মেডিকেল টিম, এটাই মূল কারণ।
মঙ্গলবার সকালে এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণার সময়ই নিশ্চিত করা হয়, অ্যাডিলেড টেস্টের পর যেমনটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কামিন্স, তিনি এই ম্যাচে খেলবেন না। কয়েক ঘণ্টা পর প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানান, এক ম্যাচ খেলেই অ্যাশেজ শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের জন্য। সেই একমাত্র ম্যাচেই অবশ্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিশ্চিত করে নেয়।
বিজ্ঞাপন
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর কামিন্সের লাম্বার স্ট্রেস রিঅ্যাকশন ধরা পড়ে। তবে আক্রমণাত্মক পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পর অ্যাডিলেড টেস্টে তিনি দুর্দান্ত বোলিং করেন—ছয় উইকেট নিয়ে ৮২ রানের জয় এনে দেন দলকে।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “ও এখন ভালোই আছে। তবে সিরিজের বাকি অংশে সে আর খেলবে না। এই সিদ্ধান্তটা অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। আমরা জানতাম, ওকে ফেরাতে কিছুটা ঝুঁকি নিচ্ছি। কিন্তু এখন যেহেতু অ্যাশেজ জিতে গেছি, তাই দীর্ঘমেয়াদে ওর শরীরকে ঝুঁকির মুখে ফেলা আমরা চাই না। এই সিদ্ধান্তে প্যাটও পুরোপুরি স্বস্তিতে আছে।”
অ্যাশেজে কামিন্স মাত্র এক ম্যাচ খেললেও, তাকে সেই পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা ছিল বড় অর্জন বলে মনে করেন ম্যাকডোনাল্ড। “পুনর্বাসনের কোনো পর্যায়ে যদি সামান্যও সমস্যা হতো, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বন্ধ করে দিতাম। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। মেডিকেল টিম ও প্যাট- দুজনেরই কৃতিত্ব এখানে বিশাল। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে ফিরে এসে ছয় উইকেট নেওয়া এবং অ্যাশেজ নিশ্চিত করা—এটা সবার জন্যই দারুণ তৃপ্তির,” বলেন তিনি।
তিনি আরও যোগ করেন, কয়েক মাস আগেও যখন কামিন্সের অ্যাশেজ খেলা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল, তখন সেখান থেকে তাকে তৃতীয় টেস্টে খেলানোর জায়গায় পৌঁছে দেওয়া ছিল স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিসিন টিমের অসাধারণ পরিশ্রমের ফল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে কামিন্স থাকবেন কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ম্যাকডোনাল্ড জানান, এ নিয়ে মঙ্গলবারই নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের বিশ্বকাপের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি কামিন্স। আসন্ন বিশ্বকাপ হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। এর ঠিক পরপরই শুরু হবে আইপিএল ২০২৬, যেখানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার কথা তার।
কামিন্সের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “এটা এখনও মূল্যায়নের পর্যায়ে আছে। সামনে হয়তো স্ক্যান করানো হবে, তখন বোঝা যাবে তার পিঠের অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে। বিশ্বকাপে সে খেলবে কি না, এখনই নিশ্চিত করে বলা কঠিন। পরিস্থিতি এখনো ধূসর। তবে আমরা আশাবাদী।”

