ফর্মে থাকা ওপেনার সামীর মিনহাসের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি আর আহমেদ হুসাইনের কার্যকর হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়ল পাকিস্তান। রোববার আইসিসি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ২০২৫ এর ফাইনালে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক আয়ুষ মাথ্রে। তবে সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল প্রমাণিত হলো, তা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা, বিশেষ করে সামীর মিনহাস।
ইনিংসের শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে মিনহাস ও হামজা জাহুর যোগ করেন ৩১ রান। তবে চতুর্থ ওভারে হেনিল প্যাটেলের বলে ১৮ রান করে ফিরেন হামজা। এরপর উসমান খানকে নিয়ে ইনিংসের রাশ টেনে ধরেন মিনহাস। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৭৯ বলে ৯২ রানের দ্রুত জুটি গড়ে পাকিস্তানকে শক্ত ভিত দেন তারা। ১৭তম ওভারে খিলান প্যাটেলের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন উসমান খান। ৪৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
বিজ্ঞাপন
এরপর শুরু হয় ইনিংসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হুসাইনকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৭ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন মিনহাস। ৭৩ বলে ৫৬ রান করেন আহমেদ, তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কা। পাকিস্তান অধিনায়ক ফারহান ইউসুফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে মিনহাস যোগ করেন আরও ৪২ রান। ৪৩তম ওভারের শেষ বলে দীপেশ দেবেন্দ্রনের শিকার হন মিনহাস।
আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কায়। এই ইনিংসই কার্যত পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যায়। মিনহাস আউট হওয়ার পর হঠাৎই ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। অধিনায়ক ফারহান ইউসুফসহ দ্রুত আরও চারটি উইকেট হারায় দল। এক পর্যায়ে স্কোর নেমে আসে ৪৬.৪ ওভারে ৩২৭/৮-এ।
শেষ দিকে অবশ্য কিছুটা সামলে নেন মোহাম্মদ সাইয়াম ও নিখাব শাফিক। তারা দুজনই অপরাজিত থেকে যথাক্রমে ১৩ ও ১২ রান যোগ করেন, যার ফলে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৩৪৭ রানে পৌঁছায়। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন দীপেশ দেবেন্দ্রন। তিনি ১০ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া হেনিল প্যাটেল ও খিলান প্যাটেল নেন দুটি করে উইকেট, আর একটি উইকেট পান কানিষ্ক চৌহান।

