বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সুযোগ পেয়েও স্টাম্পিং করলেন না পুরান, ব্যাটারকে যে কারণে তুলে নিল দল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সুযোগ পেয়েও স্টাম্পিং করলেন না পুরান, ব্যাটারকে যে কারণে তুলে নিল দল

আইএল টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার রাতে ডেজার্ট ভাইপার্স এক রানের অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। ম্যাচটা যতই উত্তেজনাপূর্ণ হোক, সব আলো নিয়ে নিয়েছে প্রথম ইনিংসের ১৬তম ওভার যেখানে পরপর দুই বলে ঘটে গেছে দুই অদ্ভুত ঘটনা। একটি ‘স্টাম্পিং না করা’ এবং একটি ‘রিটায়ার্ড আউট’। দুটোর কেন্দ্রেই নিকোলাস পুরান ও ম্যাক্স হোল্ডেন।

আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভাইপার্স ১৬তম ওভারে স্কোরবোর্ডে তোলে ১১০/১। ক্রিজে ছিলেন ম্যাক্স হোল্ডেন ও স্যাম কারান, কিন্তু রান তোলার গতি ছিল মন্থর। আগের চার ওভারে আসে মোটে ২০ রান, আর ডাগআউটে তখনও অপেক্ষায় শিমরন হেটমায়ার ও ড্যান লরেন্স।


বিজ্ঞাপন


রানের দরকার ছিল, আর ইনিংসের সেরা স্কোরার হোল্ডেন ছিলেন স্ট্রাইকে। ওভারের প্রথম দুই বলে কারান একটি চার ও সিঙ্গেল নিয়ে তাকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে কোনো রান আসেনি। চতুর্থ বলে এমআই এমিরেটস রিভিউও নেয়, কারণ পুরান মনে করেছিলেন হোল্ডেন কট বিহাইন্ড হয়েছেন। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল কেবল প্যাডে লেগেই তার গ্লাভসে গেছে। পঞ্চম বল থেকে আসে দুই রান।

এরপরই শুরু হলো নাটক। রশিদ খান বনাম হোল্ডেন। হোল্ডেন ট্র্যাক ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট খেলতে যান, কিন্তু রশিদ বলটা ওয়াইডে রেখে ভালোভাবেই পরাস্ত করেন। হোল্ডেন এতটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন যে ফিরে আসার চেষ্টা পর্যন্ত করেননি। এদিকে বল হাতে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ পেয়েও পুরান স্টাম্পিং করতে আগ্রহী নন। এটা বুঝতে পেরে হোল্ডেন ধীরে ধীরে ব্যাট মাটিতে রাখেন।

কমেন্টারি বক্সে শোনা যায়, “ওহ! সে ওকে স্টাম্পই করল না। বিশাল দূরত্বে ছিল, তবু করল না।” বলটা ওয়াইডও দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


পরের বল, এবার দ্রুত, ফ্ল্যাট, সোজা স্টাম্পে। হোল্ডেন বড় শট খেলতে গিয়ে আবারও ব্যর্থ। এরপরই আসে ঘটনাটির দ্বিতীয় অংশ, হোল্ডেনকে সঙ্গে সঙ্গে রিটায়ার্ড আউট ঘোষণা করা হয়। স্পষ্টতই এটা ছিল ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত। এমআই এমিরেটসের জন্য ধীরগতির হোল্ডেনকে ক্রিজে রাখা সুবিধাজনক ছিল, কিন্তু ভাইপার্সের জন্য তাকে তুলে নেওয়াই ভালো মনে হয়েছে।

তবে কারানের উপস্থিতিও খুব লাভ এনে দেয়নি, ১৯ বলে ১৯ রানে থেমেছেন তিনি। কিন্তু হোল্ডেনের জায়গায় নামা হেটমায়ার ৯ বলে ১৫ এবং পরে লরেন্স ৮ বলে ১৫ রান করে ইনিংসকে এগিয়ে দেন। ভাইপার্সের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত জয়ের মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়। শেষ চার ওভারে আসে ৪১ রান। জবাবে এমআই এমিরেটস থামে ১৫৮/৯ উইকেটে, ভাইপার্সের ১৫৯/৪ এর চেয়ে ১ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর