বয়সের ভার পেছনে ফেলে এবারও দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মিয়ামিকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জেতানোর পাশাপাশি নিজেও গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। স্বাভাবিকভাবেই মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়, এমএলএসের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ হয়েছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার।
৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে এমভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মেসি। গণমাধ্যমের ভোটে পেয়েছেন ৮৩.০৫ শতাংশ, খেলোয়াড়দের ভোটে ৫৫.১৭ শতাংশ এবং ক্লাবের ভোটে ৭৩.০৮ শতাংশ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সান দিয়েগোর উইঙ্গার অ্যান্ডার্স ড্রেয়ার পেয়েছেন মাত্র ১১ শতাংশ ভোট।
বিজ্ঞাপন
এমএলএস ইতিহাসে টানা দুই মৌসুমে বর্ষসেরা হওয়ার কীর্তি এবারই প্রথম। আর দুইবার এমভিপি জেতা দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন মেসি। এর আগে এই অর্জন ছিল শুধু প্রেকির (১৯৯৭ ও ২০০৩)।
২০২৫ মৌসুমে ছিল মেসির সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি। লিগে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। সঙ্গে যোগ করেছেন ১৯টি অ্যাসিস্ট। টানা দুই মৌসুমে অন্তত ৩৬ গোলে সরাসরি অবদান রাখা এমএলএসে তিনিই একমাত্র ফুটবলার।
মৌসুমে আরও করেছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড। ২৮ মে থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করে গড়েছেন নতুন নজির।
পিএসজি থেকে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার সময় ক্লাবটি ছিল লিগের নিচের দিকে। সেখান থেকে উঠে এসে মেসির নেতৃত্বে দলটি জিতেছে প্রথম এমএলএস কাপ। প্লে-অফে মেসির অবদান ৬ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট। ৬ ডিসেম্বরের ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩–১ গোলে হারাতে দুই গোল করিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকায় যোগ হলো আরও এক সাফল্য। আগেই ছিলেন ৮ ব্যালন ডি’অর, ৮ পিচিচি, ৬ লা লিগা সেরা খেলোয়াড়, ৩ ফিফা বেস্ট, ৩ ইউয়েফা সেরা, ২ বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল এবং ১৫ বার আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলার। জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তাঁর ট্রফির সংখ্যা ৪৮। আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে পারলে স্পর্শ করবেন ট্রফির ‘হাফ সেঞ্চুরি’।
বিশ্বকাপের আগে স্পেনের বিপক্ষে ফিনালিসিমা খেলবে আর্জেন্টিনা, সেখানেও থাকছেন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি।

