রিয়াল মাদ্রিদে নয় মৌসুমে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ‘আমি রেকর্ড তাড়া করি না, রেকর্ডই আমাকে তাড়া করে’ এই কথাটিই যেন সত্যি করে দেখিয়েছিলেন তিনি। রোনালদো চলে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, আবার কি কেউ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে এমন মহাতারকা হয়ে উঠতে পারবেন?
সেই উত্তর গত মৌসুমেই পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলে যোগ দিয়েই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে। ২৬ বছর বয়সী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড এমন ফর্মে আছেন যে, রোনালদোর বেশ কয়েকটি রেকর্ড এখন সরাসরি হুমকির মুখে।
বিজ্ঞাপন
এক বর্ষপঞ্জিকায় রিয়ালের হয়ে সর্বাধিক গোল- ২০১৩ সালে রিয়ালের হয়ে ৫৯ গোল করেছিলেন রোনালদো, এটাই ছিল তাঁর ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা বছর। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে রেকর্ডটি অক্ষুণ্ন ছিল। এবার সেটি ভাঙার খুব কাছে এমবাপে। বিলবাওয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে তাঁর চলতি বছরের গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬। এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি, বর্তমান ছন্দে রেকর্ড ভাঙা প্রায় নিশ্চিত।
ক্লাব-দেশ মিলিয়ে সর্বাধিক গোল এক বর্ষপঞ্জিকায়- ২০১৩ সালে রোনালদোর মোট গোল ছিল ৬৯। এমবাপের এখন ৬২, রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে বাকি ৮ গোল। হাতে আছে আরও চার ম্যাচ।
লা লিগায় সর্বাধিক গোল এক মৌসুমে- লা লিগায় ১৫ ম্যাচে এমবাপে করেছেন ১৬ গোল, গড়ে প্রতি ৮১.৭ মিনিটে একটি। এক মৌসুমে রোনালদোর রেকর্ড ৪৮ গোল। এমবাপেকে রেকর্ড ভাঙতে বাকি ২৩ ম্যাচে করতে হবে ৩৩ গোল, ফর্ম বিবেচনায় অসম্ভব নয়। মৌসুমের সব মিনিট খেলতে পারলে প্রতি ৬২.৭ মিনিটে একটি গোল করলেই রেকর্ড টপকানো সম্ভব ফরাসি তারকার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বাধিক গোল এক মৌসুমে- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোল ১৭ (২০১৩–১৪)। এ মৌসুমে মাত্র ৫ ম্যাচেই এমবাপের গোল ৯টি। রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার জন্য বাকি ৮, আর ছাড়িয়ে যেতে ৯ গোল প্রয়োজন। নতুন ফরম্যাটে বেশি ম্যাচ খেলতে পারায় এমবাপের সুযোগ আরও বড়। এবার তাঁর গোলের হারও রোনালদোর চেয়ে দ্রুত, প্রতি ৪৮.৮ মিনিটে এক গোল, যেখানে রোনালদো করেছিলেন প্রতি ৫৮.৪ মিনিটে।

