আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে অভিষেকেই নজর কাড়েন রিয়ান পরাগ। সাত মৌসুমে ৮৪ ম্যাচে করেছেন ১,৫৬৬ রান। তবে ডানহাতি ব্যাটারের সেরা সময় আসে ২০২৪ সালে, যখন তিনি পাঁচশ’র বেশি রান করেন। ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে কখনো দারুণ, কখনো হতাশাজনক ফর্ম। এভাবে ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই ক্যারিয়ারের শুরুটা কাটে তার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরাগ জানান, ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেন। নিয়মিত রান না করতে পারায় একসময় বাথরুমে বসে কান্নাও করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর প্রথম মৌসুমে ৭ ম্যাচে ১৬০ রান করলেও পরের তিন মৌসুম ছিল খুবই হতাশাজনক। ২০২০ থেকে ২০২২ এই তিন বছরে তার ব্যাটিং গড় কখনোই ২০ ছুঁতে পারেনি। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় আসে ২০২৩ সালে ৭ ম্যাচে রান মাত্র ৭৮।
অদ্ভুতভাবে, একই মৌসুমেই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলে ২৫৩ রান করেছিলেন ১৬৫+ স্ট্রাইক রেটে। কিন্তু সেই ফর্ম আইপিএলে কাজে লাগাতে পারেননি।
তবে ২০২৪ মৌসুমে বদলে যান পরাগ। ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে উঠে এসে ৫৭৩ রান করেন ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ৫১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে ১০ ইনিংসের সাতটিতেই তিনি অর্ধশতক করেছিলেন।
পরাগ বললেন, ‘অনেকবার ঘরোয়ায় রান হয়নি, কিন্তু আইপিএলে করেছি। আবার এমনও হয়েছে- ঘরোয়ায় দারুণ করেছি, কিন্তু আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৭০ রানও করতে পারিনি। রান করতে না পারলে বাথরুমে বসে কাঁদতাম, ভাবতাম আর কী করা উচিত!’
বিজ্ঞাপন
এদিকে নতুন মৌসুমের আগে বড় পরিবর্তন এসেছে রাজস্থানে। ট্রেডে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিয়েছেন সাঞ্জু স্যামসন, দলে এসেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। গত মৌসুমে স্যামসন চোটে পড়লে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। এবার তিনিই হতে পারেন দলের পূর্ণকালীন অধিনায়ক। তবে জাদেজাও দৌড়ে আছেন। ১৬ ডিসেম্বরের নিলামের পর নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

