ক্রাইস্টচার্চে চলমান প্রথম টেস্টে বিশাল চাপে থেকেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার দিনের শেষে শাই হোপের ঝলমলে সেঞ্চুরি আর জাস্টিন গ্রিভসের ঠাণ্ডা মাথার ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে ক্যারিবীয়রা। ম্যাচ বাঁচানোর ক্ষীণ আশ তাই এখনো টিকে আছে দলটির।
হোপ ১১৬ রানে অপরাজিত, সঙ্গে গ্রিভস ৫৫*। দু’জন মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন মূল্যবান ১৪০ রান যেখানে ইনিংসের শুরুতেই ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কার্যত ধস নেমেছিল অতিথি শিবিরে। নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ জয়ের জন্য দরকার আর ৬ উইকেট। নতুন বল হাতে নিতে বাকি মাত্র ছয় ওভার। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য পাহাড়সম- ৫৩১ রানের টার্গেট ছুঁতে হলে লাগবে আরও ৩১৯ রান।
বিজ্ঞাপন
তবে কিউইদের বোলিং আক্রমণে চোট–বিধ্বস্ত পরিস্থিতি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিছুটা সাহায্য করেছে। সাইড স্ট্রেইনে নাথান স্মিথ পুরো টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন। মূল পেসার ম্যাট হেনরি হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় পুরো দিনে মাত্র ১১ ওভার করতে পেরেছেন। এতে অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নির্ভর করতে হয়েছে অফস্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল আর পার্ট–টাইমার রাচিন রবীন্দ্রর ওপর।
তবে ক্যারিবিয়দের চাপের মুখে হোপের লড়াকু ইনিংসই দিনটির আসল গল্প। চোখের সংক্রমণে ভুগলেও তিনি ক্রিকেটে রঙিন সময় পার করছেন- প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫৬, ভারত সফর থেকেও এসেছেন সেঞ্চুরি নিয়ে। ১৫টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল স্পষ্ট। রাচিন রবীন্দ্রর বলে কভার দিয়ে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতেই তার আনন্দে ভরে ওঠে মাঠ।
গ্রিভসও দারুণ সাপোর্টিং রোল খেলেছেন। দু'বার এজড হলেও দু’টিই স্লিপে পৌঁছানোর আগেই পড়ে যায়। এর আগে ১১ রানেই লাঞ্চে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে পুরো আধিপত্য ছিল নিউজিল্যান্ডের, যেখানে তারা তুলে নেয় ৪ উইকেট।
লাঞ্চের পরেই আঘাত হানেন জ্যাকব ডাফি। লাইন–লেন্থে থাকা সিমিং ডেলিভারিতে ১৫ রানে জন ক্যাম্পবেলকে আউট করেন, প্রথম স্লিপের সামনে ডাইভ দিয়ে ব্রেসওয়েল তার ক্যাচ নেন। পরের ওভারেই তেজনারায়ণ চন্দরপলকে (৬) কট বিহাইন্ড করেন ডাফি।
বিজ্ঞাপন
অফস্পিনার ব্রেসওয়েল সহজেই তুলে নেন আলিক অথানাজেকে (৫), মিড–অনে জ্যাক ফোল্কসের হাতে ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর কিছুটা সময় বোলিংয়ে ফিরে হেনরি বিদায় করেন অধিনায়ক রস্টন চেজকে (৪)।
নিউজিল্যান্ডের দিন শুরু হয়েছিল ৪১৭–৪ অবস্থান থেকে। প্রথম ঘণ্টায় তারা তোলে আরও ৪৯ রান। এরপর কেমার রোচ ফিরে এসে ডাফিকে (১০) ক্যাচ–অ্যান্ড–বোল্ড করে কিউইদের ইনিংস গুটিয়ে দেন। ফলে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রানে শেষ হয় কিউইদের ইনিংস।

