অ্যানফিল্ডে লড়াই জমেছিল হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসো বলেন, ফলটা হতাশাজনক হলেও তার দল লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। তবে সূক্ষ্ম কিছু ভুলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
আলোনসো বলেন, “আমি মনে করি না আমরা শারীরিকভাবে পিছিয়ে ছিলাম বা লড়াইয়ে হেরে গেছি। ম্যাচটা ছিল দ্রুত গতির, অনেক পরিশ্রমের। শেষ তৃতীয়াংশে আমরা ধারালো হতে পারিনি, ছোটখাটো জায়গাতেই পার্থক্যটা তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “হাফটাইমে আমরা আলোচনা করেছিলাম- আমরা অনেক ফাউল আর কর্নার দিয়েছি, আর ওদের সেই গোলটাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল নির্ধারণ করেছে।”
বিজ্ঞাপন
রিয়াল কেন মাঝমাঠে প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি, এমন প্রশ্ন উঠলে আলোনসো বলেন, “আমাদের জন্য শেষ তৃতীয়াংশে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। ওরা নিচে নেমে রক্ষণ জমাট করে রেখেছিল, বক্সের ভেতর জায়গা বের করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।” তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, “ম্যাচটা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে, ছোট ছোট জায়গা বের করতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলোই ফলটা তাদের দিকে টেনে নেয়।”

আলোনসো ম্যাচে এদুয়ার্দো কাভামিঙ্গার পজিশন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা বলেন, “আমরা চতুর্থ মিডফিল্ডারটা তুলে নিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, আরদা বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে খেললে ফেদেরিকো ভালভার্দের জায়গা খুলবে। পরে আবার পরিবর্তন এনেছি। আরদা ভেতরে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
অ্যানফিল্ডের গ্যালারিতে পরিবেশটা ছিল বেশ উত্তপ্ত। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নলডকে লক্ষ্য করে চিৎকার, দুয়ো- সবই চলছিল। তবে আলোনসো ইংলিশ ডিফেন্ডারের পাশে দাঁড়ালেন, “ট্রেন্ট খুব মনোযোগী ছিল, দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছে। এটা তার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ধীরে ধীরে এগোতে হবে, কিন্তু আমরা তার পারফরম্যান্সে খুশি।”
বিজ্ঞাপন
গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়াকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন আলোনসো। “তিবু দারুণ খেলেছে। সে না থাকলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চাপ সামলানোর দক্ষতা বাড়ানো- অপ্রয়োজনীয় ফ্রি-কিক, কর্নার না দেওয়া। ম্যাচটা ছিল খুব তীব্র, কিন্তু আমাদের সৃজনশীলতার ঘাটতি ছিল,” বলেন রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচ।

