সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অনন্য মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে বাবর আজম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অনন্য মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে বাবর আজম

পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজম। লম্বা সময় ধরেই তার ব্যাটে আগের মত ধার নেই। তবুও দারুণ দুইটি রেকর্ড ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে তিনি। মঙ্গলবার ইকবাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, আর এই সিরিজেই হতে পারে নতুন ইতিহাসের জন্ম।

৩১ বছর বয়সী বাবর আজম এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৯ সেঞ্চুরি করেছেন। আরেকটি শতক পেলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন কিংবদন্তি ওপেনার সাঈদ আনোয়ারকে। যিনি ২৪৭ ম্যাচ ও ২৪৪ ইনিংসে করেছেন ২০ সেঞ্চুরি। বাবর এই রেকর্ডে পৌঁছাতে খেলেছেন মাত্র ১৩৪ ম্যাচ ও ১৩১ ইনিংস।


বিজ্ঞাপন


ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ব্যাটারদের সর্বাধিক সেঞ্চুরি:

সাঈদ আনোয়ার – ২০ সেঞ্চুরি (২৪৭ ম্যাচ)

বাবর আজম – ১৯* সেঞ্চুরি (১৩৪ ম্যাচ)

মোহাম্মদ ইউসুফ – ১৫ সেঞ্চুরি (২৮১ ম্যাচ)


বিজ্ঞাপন


ফখর জামান – ১১ সেঞ্চুরি (৮২ ম্যাচ)

মোহাম্মদ হাফিজ – ১১ সেঞ্চুরি (২১৮ ম্যাচ)

শুধু তাই নয়, বাবরের সামনে আছে আরও একটি বড় রেকর্ডের সুযোগ। তিনি এখন ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম ২০ সেঞ্চুরি ছোঁয়া ব্যাটারদের তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার দোরগোড়ায়।

বর্তমানে বাবরের ১৯ সেঞ্চুরি এসেছে ১৩১ ইনিংসে। ভারতের বিরাট কোহলি এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ১৩৩ ইনিংসে। অর্থাৎ, বাবর যদি আগামী দুই ইনিংসের মধ্যে আরেকটি সেঞ্চুরি করেন, তবে তিনি কোহলিকে পেছনে ফেলবেন এবং ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হবেন ২০ সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোয়। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, যিনি এটি করেছিলেন মাত্র ১০৮ ইনিংসে।

দ্রুততম ২০ সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটাররা (ওয়ানডে):

হাশিম আমলা – ১০৮ ইনিংস

বিরাট কোহলি – ১৩৩ ইনিংস

এবি ডি ভিলিয়ার্স – ১৭৫ ইনিংস

রোহিত শর্মা – ১৮৩ ইনিংস

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যু ইকবাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে—আগামী ৬ ও ৮ নভেম্বর। এই সিরিজটি আবারও ফিরিয়ে আনছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ফয়সালাবাদে, যেখানে সর্বশেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল—সেদিন বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান।

এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৮৭ বার, যেখানে পাকিস্তান জিতেছে ৩৪ ম্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫২টি, আর একটি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর