বৃষ্টিতে প্রভাবিত ম্যাচে ব্যবহৃত ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতি নিয়ে ফের বিতর্ক। ভারতের বিপক্ষে পার্থে প্রথম ওয়ানডের পরই এই নিয়মের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া।
ম্যাচে ভারত ব্যাটিংয়ে নামার পর চারবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধের মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস কমে দাঁড়ায় ২৬ ওভারে, যেখানে ভারত করে ১৩৬ রান। কিন্তু ডিএলএস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৩১ রান! এই অদ্ভুত হিসাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন চোপড়া। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, “ভারত ১৩৬ করল, কিন্তু লক্ষ্য হলো ১৩০! এটা একদমই ঠিক না। এটা অন্যায়। এটা অবিচার। আমাকে এর ব্যাখ্যা দিন। প্রথম যখন ম্যাচ শুরু হয়, সেটা ৫০ ওভার ছিল তাদের জন্য। কিন্তু ওভার যখন ধীরে ধীরে কমা শুরু করল, তখন মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন হচ্ছিল।”
বিজ্ঞাপন
চোপড়ার ব্যাখ্যা, “খেলা শুরু হয়েছিল ৫০ ওভারের ম্যাচ হিসেবে। কিন্তু ধীরে ধীরে ওভার কমতে থাকে, যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভারতকে বেশ কষ্ট করতে হয়। ডিএলএসের হিসাবটা এমন- যদি কম উইকেট হাতে থাকে, তাহলে তোমাকে দুর্বল অবস্থানে ধরে নেয়। ভারত ৯ উইকেট হারিয়েছে। তাই সিস্টেম বলছে, ‘তোমরা ১৩৬ করেছ, কিন্তু যদি প্রথম থেকেই ২৬ ওভারের খেলা হতো, তাহলে এত রানও করতে না।’ এটা ভুল।”
চোপড়া আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাট করতে নামে, তখন তারা ঠিক জানত ম্যাচ কত ওভারের এবং পরিস্থিতি কেমন হবে। অথচ ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় সেটি জানা ছিল না। তাই তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ভারতকে অন্যায্য পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া যখন বল করেছে, জশ হ্যাজলউড ৭ ওভার, মিচেল স্টার্ক ৬ ওভার বল করেছে। কিন্তু ভারতের বোলারদের ক্ষেত্রে এক জনই ৬ ওভার করতে পেরেছে। অস্ট্রেলিয়া জানত ভারতের কোন বোলার কত ওভার করবে। ওদের জন্য সুবিধা, কারণ ওরা লক্ষ্য আর ওভারের হিসাব সব জানে। তাই রান তাড়া করতে নামা দল স্পষ্ট সুবিধায় থাকে।”
“ভারত ১৩৬ করেছে, কিন্তু লক্ষ্যটা অন্তত ১৪৫–১৪৭ হওয়া উচিত ছিল। ডিএলএস সিস্টেম এখন এমনভাবে কাজ করছে যে, এটা প্রথমে ব্যাট করা দলের বিপক্ষে যাচ্ছে। তাই এই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা দরকার,” বলেন তিনি। পার্থে বৃষ্টি বিঘ্নিত ২৬ ওভারের ইনিংসে ভারত ৯ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছিল। এরপর ডিএলএস নিয়মে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩১ রান, যা তারা সহজেই ৪.৫ ওভার বাকি থাকতেই পূরণ করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায়।

