মাত্র ৩৪ হাজার মানুষের ছোট্ট দেশ সান মারিনো, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে নিচে থাকা দল। ফুটবলে তাদের সাফল্যের খাতাটা প্রায় শূন্য। শেষ ২০ বছরে তারা জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ, দুটিই প্রতিবেশী লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে। তবুও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলতে পারে তারা! এমনই অদ্ভুত এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে উয়েফা নেশনস লিগের জটিল নিয়ম।
এখন পর্যন্ত ২১৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মাত্র ৩টি জয় পেয়েছে সান মারিনো। তার মধ্যে ২টি জয় এসেছে ২০২২ সালে নেশনস লিগে। লিখটেনস্টাইনকে দুইবার হারিয়ে ও জিব্রালটারের সঙ্গে ড্র করে গ্রুপ ‘ডি’তে শীর্ষে উঠে আসে তারা। আর এই শীর্ষস্থানই এখন বিশ্বকাপ প্লে-অফের টিকিট পাওয়ার ক্ষীণ আশা জাগিয়ে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়া ১২ দলের সঙ্গে নেশনস লিগের সেরা চারটি দল প্লে-অফ খেলবে। এই ১৬ দল থেকে চারটি দল যাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে।
সান মারিনো তাদের গ্রুপে সবচেয়ে নিচের র্যাঙ্কিংয়ে থাকলেও, নেশনস লিগে ভালো করায় এখনো সেই ‘সেরা চার দলের’ বিবেচনায় আছে। কারণ, ওই চার দলের মধ্যে যারা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সরাসরি ভালো করে (অর্থাৎ গ্রুপে প্রথম বা দ্বিতীয় হয়), তাদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার সুযোগ আসে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর জন্য।
এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রোমানিয়া ও সান মারিনো একই গ্রুপে রয়েছে। যদি রোমানিয়া গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে উঠে যায়, তবে নেশনস লিগের নিয়ম অনুযায়ী, সান মারিনোর সামনে প্লে-অফের দরজা খুলে যেতে পারে।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচে হারলে বা খারাপ খেললে তা ফিফার 'ম্যাচ ফিক্সিং' আইনের আওতায় পড়ে। তাই রোমানিয়ার কাছে ‘ইচ্ছা করে হারার’ সুযোগ নেই সান মারিনোর। তবুও, বাস্তবতা হলো এখনও তারা বিশ্বকাপ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়েনি।
বিজ্ঞাপন
এখন পর্যন্ত ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইউরোপীয় অঞ্চলে সাতটি ম্যাচ খেলে সব কটিতেই হেরেছে সান মারিনো। গোল করেছে মাত্র একটি, হজম করেছে ৩২টি। তবুও জটিল হিসাবের নিয়মের কারণে বিশ্বকাপ স্বপ্ন এখনো টিকে আছে। আর যদি সেই স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে মাত্র দুটি প্লে-অফ ম্যাচ জিতলেই সান মারিনো খেলবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বিশ্বকাপে।

