২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট আগেই নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন নেইমারকে কি দেখা যাবে সেই দলে? দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরির কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে আছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এরপর হাঁটুর বড় চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে যায় নেইমারের। তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন, তিনি কি আদৌ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন?
এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। টোকিওতে জাপানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'নেইমার যদি পুরোপুরি ফিট থাকেন, তাহলে তিনি নিশ্চিন্তে ব্রাজিল দলে জায়গা পাবেন। শুধু ব্রাজিল নয়, বিশ্বের যেকোনো দলে খেলার মতো প্রতিভা তার আছে।'
বিজ্ঞাপন
তবে ফিট না থাকলে কোনো সুযোগ নেই, এটাও স্পষ্ট করেছেন অভিজ্ঞ এই ইতালিয়ান কোচ। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ইনজুরির কারণে নেইমারকে ছেড়ে দেয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। তবে এখনও পুরোদমে খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পাননি তিনি।
আনচেলত্তি ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে সাজাচ্ছেন ভারসাম্যপূর্ণ ফুটবলের ওপর ভিত্তি করে। শুধু ‘জোগো বোনিতো’ বা দৃষ্টিনন্দন ফুটবলের ওপর ভরসা না করে, ডিফেন্স ও টিমওয়ার্ককেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচে তিনটি জয়, একটি ড্র ও একটি হারের মুখ দেখেছে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে বহুবার, অথচ নিজেরা হজম করেছে মাত্র একটি গোল তাও পেনাল্টি থেকে।
সর্বশেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। ওই ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন তরুণ তারকারা ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মাতেউস কুনিয়া ও এস্তেভাঁও।
বিজ্ঞাপন
আনচেলত্তির ভাষায়, 'ব্রাজিল ফুটবল অবশ্যই সুন্দর খেলতে চায়। কিন্তু দল যখন একসঙ্গে কাজ করে, তখনই খেলা সুন্দর হয়—বল দখলে থাকুক বা না থাকুক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জয়।' বুধবার ভোরে জাপানের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে আরও একবার পরীক্ষা হবে আনচেলত্তির আক্রমণভাগ ও কৌশলগত ভারসাম্য।

