বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। এবারের আসর বসছে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। মোট ৮টি দল অংশ নিচ্ছে এই বিশ্বকাপে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড।
এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো প্রাইজমানি। আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী, মোট পুরস্কারের অর্থ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় **১৬৮ কোটি টাকা।)
বিজ্ঞাপন
টুর্নামেন্টে অংশ নিলেই প্রতিটি দল পাবে২ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। এমনকি কোনো ম্যাচ না জিতলেও এই অর্থ পাবে দলগুলো।
গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার দেওয়া হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এছাড়া সেমিফাইনালে ওঠা দল পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা)। রানার্সআপ দল পাবে ২২ লাখ ২৪ হাজার ডলার (প্রায় ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা)। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (প্রায় ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা)।
২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শেষ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছিল ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। এবার সেই অঙ্ক বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৪ লাখ ডলার— অর্থাৎ প্রায় তিনগুণ। রানার্সআপের পুরস্কারও বেড়েছে ২৭৩ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানালেন, এবার তারা কয়েকটি জয় পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তবে জয় না এলেও আর্থিকভাবে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বিশ্বকাপের এই বিপুল অর্থ পুরস্কার নারীদের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

