তাসকিন-মেহেদী ও রিশাদদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অল্পের মধ্যেই থেমে গেল পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে তারা। ফলে এ ম্যাচে জিততে টাইগারদের দরকার ১৩৬ রান।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
বিজ্ঞাপন
এদিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের শিকারে পরিণত হন পাক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। মাত্র ৪ রান করে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা রিশাদের হাতে ক্যাট তুলে দিয়ে ফিরে যান তিনি।
দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ওয়ান ডাউনে নামা সায়েম আইয়ুবকে ফিরিয়ে দেন স্পিনার মেহেদী হাসান। লেগঅনে দাঁড়িয়ে এ ক্যাচটিও তালুবন্দি করেন রিশাদ। ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ২ ওভার থেকে দলীয় রান তখন মাত্র ৫।
এরপর বল হাতে এসে জোড়া শিকার করেন স্পিনার রিশাদ হোসাইন। প্রথমে বাঁ-হাতি ড্যাশিং ওপেনার ফখর জামানকে সাজঘরে পাঠান তিনি। রিশাদের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ফখর। তিনি করেন মাত্র ১৩ রান।
বিজ্ঞাপন
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলেই হুসাইন তালাতকে শিকার করেন রিশাদ। ব্যক্তিগত ৩ রানে সাইফ হোসাইনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার।
এরপর পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার করা দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর তালুবন্দি হয়ে ফিরে যান পাক অধিনায়ক সালমান আগা। ১৯ রান করেন তিনি। ফলে দলীয় অর্ধশতকে পৌঁছানোর আগেই অর্থাৎ মাত্র ৪৯ রানে পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে প্রথমসারির পাঁচ ব্যাটারকে।
এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মোহাম্মদ হারিসরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। এই তিন ব্যাটার করেন যথাক্রমে ১৯, ২৫ ও ৩১। কিন্তু নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানে থামে পাকিস্তান।
আজকের ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনজন পাকিস্তানিকে বধ করেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসাইন। বাকি উইকেটটি পান মুস্তাফিজুর রহমান।
আজকের ম্যাচে যে দল জিতবে, ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি। কারণ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দলই দুই করে ম্যাচ খেলে একটিতে জয় পেয়েছে।
অন্যদিকে সুপার ফোরের চার দলের এক দল শ্রীলংকা দুটি ম্যাচ খেলে দুটিই হেরেছে। ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জেতা দলই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে, সেই সমীকরণ মোটামুটি সহজই।
তবে আজ শেষ হাসিটা কে হাসবে, তা তো ম্যাচ শেষেই জানা যাবে। ক্রিকেট যেহেতু অনিশ্চয়তার খেলা, তাই কার ভাগ্যে কী আছে, তা জানতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
এএইচ
