এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। সুপার ফোরের ম্যাচেও একই গল্প হলো। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহাদের দুর্দান্ত ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় সালমান আগার দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। বিশেষ করে অভিষেক মাত্র ৩৯ বলে ঝোড়ো ৭৪ রান করে দলকে এগিয়ে নেন।শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় ভারত।
এদিকে এই ম্যাচে লজ্জার এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে পাকিস্তান। ক্রিকেট মাঠে দুই দলের ৭৩ বছরের লড়াইয়ের ইতিহাসে পাকিস্তান কিংবা ভারত কখনোই একে অন্যকে টানা পাঁচ ম্যাচের বেশি হারাতে পারেনি আগে। ভারত আজ জিতে প্রথমবারের মতো সংখ্যাটা ছয়ে নিয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভারত এর আগে আরও একবার পাকিস্তানকে টানা পাঁচ ম্যাচে হারিয়েছিল। ২০১৪ সালে মিরপুরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছিল ভারত। আজ জিতে সেই অংক ছাপিয়ে নতুন করে লিখেছে ভারত।সর্বশেষটি পাকিস্তান জয় পেয়েছে তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে দুবাইয়ে। সুপার ফোরে সেই ম্যাচে ভারতের ১৮১ রান ১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছিল পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ভারত। ইনিংস উদ্বোধনে নামা অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল দুবাইয়ে রীতিমতো ঝড় তুললেন।
ইনিংসের প্রথম বলেই শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে সূচনা করেন অভিষেক। এরপর সাইম আইয়ুব, আবরার আহমেদ ও হারিস রউফ— কাউকেই রেহাই দেননি তিনি। সঙ্গে তাল মিলিয়ে মারমুখী ব্যাটিং করেন গিলও।
১০৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হন গিল, যিনি ২৮ বলে ৮টি চার মারেন। তবে ফিফটি করার আগেই বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। অন্যপ্রান্তে থেমে থাকেননি অভিষেক। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত ৭৪ রান করে আউট হন। ৩৯ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৫ ছক্কা মারেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এই ইনিংসেই অভিষেক গড়েন নতুন রেকর্ড। সবচেয়ে কম বলে ৫০ ছক্কা হাঁকানোর। মাত্র ৩৩১ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছে ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইসকে, যিনি ৩৬৬ বলে করেছিলেন ৫০ ছক্কা।
অভিষেক ও গিল আউট হওয়ার পর ভারতের ইনিংস সামলান তিলক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া। তিলক ৩০ রানে আর হার্দিক ৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৭ বল হাতে রেখে ভারত জয় পায় ৬ উইকেটে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। তবে ম্যাচ শেষে আবারও দেখা যায় বিতর্কিত দৃশ্য। ভারতের দুই ব্যাটার পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে শুরু আর শেষটা ভালো করা পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায়। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন দুইবার ‘জীবন’ পাওয়া ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। তবে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় ৫ চার ও ৩ ছয়ের ইনিংসটি কোনো কাজে আসেনি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শিবম দুবে।
এসটি

