শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সরকারের রোষানলে, দেশ ছাড়লেন জোকোভিচ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সরকারের রোষানলে, দেশ ছাড়লেন জোকোভিচ

টেনিসের মহাতারকা নোভাক জকোভিচ নাকি আর সার্বিয়ায় থাকতে চাইছেন না। দেশের ভেতরে চলা স্মিয়ার ক্যাম্পেইন বা নেতিবাচক প্রচারণার মুখে এবার তিনি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। নিজের সন্তানদের নতুন স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন গ্রিসে। ফলে তার পরিবারও এখন স্থায়ীভাবে এথেন্সে বসবাস শুরু করেছে বলেই জানা গেছে।

গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই কিংবদন্তি। কারণ, তিনি সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার পর থেকেই দেশের শাসকগোষ্ঠীর সমর্থক গণমাধ্যম তাকে টার্গেট করে।


বিজ্ঞাপন


২০২৪ সালের নভেম্বরে একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয় সার্বিয়ায়। সেই ঘটনার পর ভুচিচবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় দেশজুড়ে। ওই সময় জকোভিচও আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। এক্সে তিনি লিখেছিলেন, “সার্বিয়ার সম্ভাবনা অনেক বিশাল, আর শিক্ষিত তরুণরাই সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের যা দরকার, তা হলো বোঝাপড়া আর সম্মান। আপনাদের সঙ্গেই আছি, নোভাক।”

এমনকি এ বছরের শুরুতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের দমনপীড়নেরও নিন্দা করেন তিনি। এর পর থেকেই শাসকঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমে তাকে বলা হয় ‘মিথ্যা দেশপ্রেমিক’।

Screenshot_2025-09-11_180127

টেনিস টোয়েন্টিফোর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জকোভিচ তার ছেলে স্তেফান (১০) এবং মেয়ে তারা (৮)-কে ভর্তি করিয়েছেন এথেন্সের সেন্ট লরেন্স কলেজে, যা একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট স্কুল। এর পর থেকেই তার পরিবার গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। কয়েক দিন আগে জকোভিচকে দেখা গেছে এথেন্সের কাভুরি টেনিস ক্লাবে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অনুশীলন করতে।


বিজ্ঞাপন


তবে এখনো সন্তানদের জন্য কোনো টেনিস ক্লাব নির্ধারণ করেননি তিনি। শোনা যাচ্ছে, কাভুরি বা এথেন্স রিভিয়ারার ৯১ নম্বর টেনিস ক্লাবে ভর্তি করানোর কথা ভাবছেন। শুধু পরিবার নয়, জকোভিচের পেশাগত দায়িত্বও ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে সার্বিয়া থেকে। সম্প্রতি বেলগ্রেড থেকে এথেন্সে সরানো হয়েছে একটি এটিপি ২৫০ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন জকোভিচ ও তার ভাই। আগামী নভেম্বর থেকে এটি অনুষ্ঠিত হবে নতুন নামে—‘হেলেনিক চ্যাম্পিয়নশিপ’। জকোভিচ ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন, তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।

সব মিলিয়ে স্পষ্ট- দেশের ভেতরে রাজনৈতিক চাপ ও নেতিবাচক প্রচারণার মুখে জকোভিচ এখন নতুন জীবন খুঁজে নিচ্ছেন গ্রিসে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর