ত্রিনিদাদে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) যেন পুরনো রূপেই ফিরলেন কায়রন পোলার্ড। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে নেমে ২৯ বলে খেললেন ঝড়ো ৬৫ রানের ইনিংস। ইনিংসটিতে ছিল মাত্র ২ চার, কিন্তু ৮টি বিশাল ছক্কা। ঝড়ো এই ইনিংস নিয়ে সবচেয়ে আলোচনা পোলার্ডের টানা ৮ বলে ৭ ছক্কা হাঁকানো।
ইনিংসের ১৫ ও ১৬তম ওভারে নাভিয়ান বিদাইসি ও ওয়াকার সালামখেইলের বিপক্ষে একের পর এক বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন পোলার্ড। নিকোলাস পুরানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ৯০ রানের জুটি, যা দলকে এনে দিয়েছে লড়াইয়ের সংগ্রহ।
বিজ্ঞাপন
১৫তম ওভারের শেষ চার বলে বিদাইসিকে তিনটি ছক্কা হাঁকান পোলার্ড। এর পরের ওভারে সালামখেইলকে টানা চার বলে চারটি ছক্কা মেরে পুরো মাঠ মাতিয়ে দেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
গত সপ্তাহেই স্বদেশি ক্রিস গেইলের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন পোলার্ড। এবার মাত্র ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আবারও জানালেন নিজের সামর্থ্যের খবর। বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় গেইলের (১০৫৬) পরেই আছেন তিনি। ৯৫০ ছক্কার মালিক পোলার্ড।
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের মালিকানাধীন নাইট রাইডার্স শেষ পর্যন্ত জিতেছে ১২ রানে। ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্যাট্রিয়টস থেমে যায় ২০ ওভারে ১৬৭/৬ রানে। চেষ্টা করেছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার, ৫৪ বলে ৬৭ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। ম্যাচসেরা হয়েছেন অবশ্যই পোলার্ডই।
খেলা শেষে পোলার্ড বলেন, “এটা আমার জীবনের সেরা ফর্ম বলে মনে করি না। আমি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে খেলছি। এই পর্যায়ে এসে ক্রিকেটটা উপভোগ করার চেষ্টা করি। ভক্তদের, পরিবারকে আর কাছের মানুষদের কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিটি বল খেলি তার যোগ্যতা অনুযায়ী। খেলার পরিস্থিতি, কে বল করছে- সব বুঝে খেলতে হয়। ভেতরে আমরা এসব নিয়ে কথা বলি, এটা একরকম দাবার খেলা। এসব হঠাৎ পাওয়া যায় না, আগেও অনেক ম্যাচ নষ্ট করেছি। তবে এখন ক্যারিয়ারের এই সময়ে তরুণদের সাহায্য করতে চাই। যেহেতু কিছু কোচিংও করছি, আমাকে দেখাতে হয় কীভাবে খেলতে হয়। মানসিকভাবে প্রস্তুতি, প্রক্রিয়া আর নিজের খেলা বোঝাটাই আসল বিষয়। এখন আমি শুধু নিজের খেলা খেলি, প্রতিপক্ষেরটা নয়।”

