রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অ্যাশেজের আগে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

অ্যাশেজের আগে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

অ্যাশেজের প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা খেলেন অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী এ দ্বৈরথ শুরুর আগেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কার কালো মেঘ। 

স্ক্যানে দেখা গেছে, কামিন্সের কোমরের নিচের অংশের হাড়ে চাপ তৈরি হয়েছে। এ কারণে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সাদা বলের সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এতে করে অ্যাশেজ শুরু হওয়ার আগে আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ নাও পেতে পারেন অজি অধিনায়ক। ২১ নভেম্বর পার্থে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে অ্যাশেজ।


বিজ্ঞাপন


অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স সবশেষ মাঠে নেমেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ান সফরের পর থেকে আর মাঠে নামেননি তিনি। সেখানেও তার বোলিং লোড ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্টে খেললেও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজও খেলেননি তিনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে টানা ১০ সপ্তাহের বিশ্রাম ও প্রস্তুতি দেওয়া হচ্ছিল, যাতে অ্যাশেজের আগে পুরোপুরি ফিট থাকা যায়, যেমনটা গত বছরও করা হয়েছিল।

কিন্তু ক্যারিবিয়ান সফরের পর থেকেই হালকা ব্যথা টের পাচ্ছিলেন তিনি। সেটা প্রত্যাশার চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। নিয়মিত স্ক্যানে সোমবার জানা যায়, তার হাড়ে চাপ জমেছে যা অনেক সময় স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের পূর্বাভাস হতে পারে। তবে ভালো খবর হলো, কোনো ফ্র্যাকচার ধরা পড়েনি। চিকিৎসকরা আশাবাদী, তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ফিট হয়ে উঠবেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর থেকেই তার লোড কমানোর পরিকল্পনা ছিল। এরপর তিনি হালকা ব্যথার কথা জানান। স্ক্যানে দেখা গেছে সামান্য হাড়ে চাপ আছে। তবে অ্যাশেজ পরিকল্পনায় তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। আমাদের বিশ্বাস, প্রথম টেস্টেই তিনি খেলতে পারবেন।”

ক্যারিয়ারের শুরুর ছয় বছর ধরে পিঠের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে ভুগতে হয়েছিল কামিন্সকে। ২০১১ সালে অভিষেকের পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত। তবে এরপর থেকে তিনি দারুণ ফিট হয়ে ওঠেন। মাঝেমধ্যে গোড়ালি ও হ্যামস্ট্রিংয়ের ছোটখাটো চোট পেয়েছেন, কিন্তু বড় কোনো সিরিজ মিস করতে হয়নি।


বিজ্ঞাপন


তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৫ সালে তার বোলিং লোড অনেকটাই কম। গত তিন বছরে প্রতিবারই সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ৪০০ ওভারের বেশি বল করেছেন তিনি। অথচ চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭৫.১ ওভার করেছেন কামিন্স। এর মধ্যে জুন-জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার টেস্ট মিলিয়ে ওভার করেছেন মাত্র ৯৫.১। বছরের শেষের দিকে কিছু ওয়ানডে, শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ এবং অ্যাশেজের প্রথম চার টেস্ট থাকলেও, এ বছর ৪০০ ওভারের কাছাকাছি যাওয়া তার পক্ষে কঠিন হবে বলেই মনে হচ্ছে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর